অমরনাথ দত্ত : শিওরে বিধানসভা নির্বাচন। আর এই বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের একাধিক কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ এবং দলত্যাগ, পাশাপাশি তাদের বিরোধী শিবিরে নাম লেখাতে দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞদের মতে এমত অবস্থায় শাসকদল কিছুটা হলেও চাপে রয়েছে। এমনকি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও বেশ কয়েকদিন ধরেই সেভাবে কিছু বলতে দেখা যাচ্ছিল না। তবে নতুন বছরের শুরুতেই বিধানসভা ভোটের আগে নয়া নিদান দিয়ে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তার নয়া নিদান, ‘ঠেঙিয়ে পগার পার করে দিন’।
শুক্রবার নানুরের বাসা পাড়ায় প্রতিবছরের মতো মিলন মেলায় হাজির হন অনুব্রত মণ্ডল। আর সেই মিলন মেলার উদ্বোধন থেকে অন্যান্য অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েই এই নিদান দিতে দেখা গেল তাকে।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মাথায় কি মুকুট থাকবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল নয়া নিদান বলেন, “সামনে ভোট। আমি তো বলে দিলাম পগার পার করে দিন ঠেঙিয়ে। পগার পার করতে বলেছি ঠেঙিয়ে। এটা গ্রামের ভাষা। এটা একচুয়ালি গ্রামের ভাষা। রহিম চৌধুরীকে যদি এসে কেউ খবর দেয় বা শাহনাজকে যদি কেউ এসে খবর দেয়, কেরিমকে যদি কেউ এসে খবর দেয়, আমাদের বাপ্পাকে যদি কেউ এসে খবর দেয়, বলবে যে ওখানে লেগেছে! ঠেঙিয়ে পগার পার করে দিয়ে আসবি। ওটাই কাজ।”
অনুব্রত মণ্ডল এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে নানুরের বাসা পাড়ার মিলনমেলার মঞ্চ উঠেন। সেখান থেকে বিজেপি এবং সেই সকল নেতাকর্মীদের হনুমান বলে আক্রমণ করেন যারা বিজেপিতে যোগদান করেছেন তাদের।
তিনি বলেন, “তোমাদের মত নেমকহারাম নয়। তোমাদের মতো বেঈমান নয়। আমাদের দল থেকে কজনকে নিয়ে নিয়েছো না! বিরাট হনু হয়ে গেছো। লাভ নাই। বীর হনুমান। এ ডাল থেকে ও ডাল যাবে। কাজ কিছু হবে না। আজকে বলে গেলাম। আজকে ফার্স্ট জানুয়ারি। একটা কথা বলে যাই। যেটা গ্রাম গঞ্জে চালু আছে। পারবেন না পগার পার করতে। পারবেন না। পগার পার করে দিয়ে আসুন বিজেপিকে। ডাকিয়ে পগার পার করে দিয়ে আসুন।”