নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে ঝড় তুলেছিল গেরুয়া শিবির ভোটের ফলাফলের সাথে সেই ঝড় এতোটুকু মিল খাচ্ছে না। আর এরপরেই বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কটাক্ষ করার পাশাপাশি জানালেন, ‘খান ১৫ গোল দিতে এখনও বাকি’।
অনুব্রত মণ্ডলের কথায়, “২২০-২৩০ বলেছিলাম। এখনো ভোট গণনা শেষ হওয়ার অনেক বাকি। আরও খান ১৫ গোল দেবে আমাদের খেলোয়াড়রা তবেই শান্তি। এখন সবে হাফ টাইম হয়েছে। আমাদের খেলোয়াড়রা ভালো খেলছে। খেলতে খেলতে জার্সি ভিজে গেছে ঘামে। তাই একটু রেস্ট নিচ্ছে। তবে এখনও খান ১৫ গোল বাকি আছে।”
ভোট গণনার ট্রেন্ডিং অনুযায়ী রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ২০০ বার করে দিয়েছে অনেক আগেই। আর এরপরই অনুব্রত মণ্ডল প্রত্যয়ী তার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী তৃণমূল ২২০ থেকে ২৩০ হবেই। ভোটের ট্রেন্ডিং অনুযায়ী রাজ্যে যে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল সরকার গড়তে চলেছে তা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। তবে তারা এখন কত বেশি মার্জিন তৈরি করতে পারে তার দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল বিজেপির এই ভরাডুবির পরিপ্রেক্ষিতে অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদিকে এদিন ফের একবার কটাক্ষ করে বলেন, “লজ্জা করে না। অভিষেক ব্যানার্জি নরেন্দ্র মোদির নাতির মত আর অমিত শাহের ছেলের মত। কত কুকথা বলেছে। আর এই নাতি এবং ছেলের মত মানুষটির উপর কুকথা বলতে লজ্জা লাগে নাই। বাংলার মানুষ এটা মেনে নেবে? মমতা ব্যানার্জিকে হাফ প্যান্ট পরিয়ে দেবে? বাংলার মহিলাদের অপমান নয়। আর যদি কোন মহিলার অপমান লাগে নাই তাহলে জানতে হবে সে বাংলার মহিলা নয়।”
এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল তৃণমূলের এই জয়ের জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরো ক্রেডিট দিয়ে বলেন, “আমাদের টিমের ক্যাপ্টেন। মমতা ব্যানার্জি কোচ মমতা ব্যানার্জি। দুই ক্ষেত্রেই তিনি দুর্ধর্ষ। আমাকে কেবল টিমের সদস্য হিসাবে রেখেছেন।”
[aaroporuntag]
অন্যদিকে ভোট গণনার ট্রেন্ডিং অনুযায়ী বীরভূম তৃণমূল অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো ফলাফল করতে চলেছে এমনটাই অনুমান। আপাতত একটি বিধানসভা কেন্দ্র বাদে প্রায় প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূল তাদের আধিপত্য বজায় রেখেছে। বীরভূমে কেবলমাত্র দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলকে বেগ পেতে হচ্ছে বিজেপির কাছে।