ভরদুপুরে ৫ মিনিটে ৩ টে খুন! জিয়াগঞ্জে পুলিশি তদন্তে প্রশ্ন তুলে CBI তদন্তের দাবি অনুপমের

নিজস্ব প্রতিবেদন : দশমীর ভরদুপুরে জিয়াগঞ্জের খুনের ঘটনার হয় সোমবার। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ পুলিশ সুপার শ্রী মুকেশ সাংবাদিক বৈঠক করে খুনিকে প্রকাশ্যে আনেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, দশমীর দিন দুপুর ১২:০৬ থেকে ১২:১১ এর মধ্যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে। সপ্তাহ খানেক আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার কিনারা হলেও প্রশ্ন পিছু ছাড়ছে না। প্রশ্ন হচ্ছে মাত্র ৫ মিনিটে ৩ জনকে খুন করা কি আদৌ সম্ভব! প্রশ্ন তুলেছেন তাবর তাবর বিরোধীরা, শুধু তাই নয় প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং নিহত বন্ধু প্রকাশের মা’ও। বন্ধু প্রকাশের মায়ের দাবি, ঘটনার পিছনে রয়েছে বড় কোন পাকা মস্তিষ্কের হাত।

বিজয় দশমীর দিন বন্ধু প্রকাশ সপরিবারে খুন হন টাকা-পয়সা লেনদেনের বিবাদকে কেন্দ্র করেই বলে জানায় পুলিশ। মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহেরাকে গ্রেপ্তার করেছে মুর্শিদাবাদ পুলিশ। উৎপল বছর কুড়ির এক যুবক, যিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। উৎপলের বীমার ২৪০০০ টাকা জমা দেয়নি বন্ধু প্রকাশ বলে জানিয়েছে পুলিশ, উপরন্তু উৎপলকে গালিগালাজ করে বন্ধু প্রকাশ। সেই রাগেই খুন করেছে উৎপল সপরিবারে বন্ধু প্রকাশকে।

এই ঘটনার কিনারা হওয়ার পরই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে আমজনতার মধ্যেও। প্রশ্ন উঠছে নানান ধরনের, দিনের বেলায় কোপানো সত্বেও বন্ধু প্রকাশের স্ত্রী আটকালো না, চেঁচামেচি করলো না? উৎপল সুস্বাস্থ্যের অধিকারী অথবা পেশাদার খুনি নন, তাহলে তার পক্ষে এত অল্প সময়ে তিনটে খুন করা কিভাবে সম্ভব? ২৪০০০ টাকার জন্য তিনটে খুন?

আর এসকল প্রশ্নের মাঝেই প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশী তদন্তকে প্রশ্নের মুখে রেখে সিবিআই তদন্তের দাবি করে জিয়াগঞ্জের ঘটনায় উঠে আসা প্রশ্নগুলিকে আরও জোড়ালো করলেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, “নাম – উৎপল বেহেরা !!! পেশাদার খুনি নয় !! অতি সাধারণ রাজমিস্ত্রি !!! পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশের দাবি, “বন্ধুপ্রকাশের গােটা পরিবারকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে খুন করা”-র কথা স্বীকার করেছে বছর কুড়ির উৎপল !!! অন্যদিকে এই খুনের সমান্তরাল তদন্তে নামা দিদি’র CID’র কয়েকজন কর্তা মনে করেন – ছোটখাটো চেহারা উৎপলের পক্ষে পাঁচ মিনিটে তিন-তিন জনকে খুন করা সম্ভব নয় !!! মানুষকে এতটা মূর্খ ভাবা ঠিক নয়। সরকার যতই গল্প ফাঁদে ঠিক একদিন আসল সত্য সামনে আসবেই !!! #হােক CBI !!!”

এছাড়াও জিয়াগঞ্জের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, মুখ বাঁচাতে সাতদিন ধরে পুলিশ গল্প বানিয়েছে। কিন্তু সেই গল্পটা অতীব দুর্বল, যা লোকে খাচ্ছে না।