নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামীকাল বোলপুরে ডাকবাংলো মাঠ থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শোয়ের বা র্যালির আগে ফের সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। কারণ গত ২০ ডিসেম্বর এই একই জায়গায় একই রুটে রোড শো করে গেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেদিনের রোড শোতে বিপুল সংখ্যক মানুষের জনসমাগম রীতিমতো শাসক দলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়। আর তারই পাল্টা হিসেবে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারের মমতা ব্যানার্জির রোড শো বোলপুরে। আর এই রোড শো ঘিরে ইতিমধ্যেই তৃণমূল বিজেপি তরজা শুরু হয়েছে লোক জমায়েত নিয়ে।
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দিন কয়েক আগেই অমিত শাহের রোড শো-কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানিয়েছিলেন, “শুধুমাত্র বোলপুর সাব ডিভিশন থেকে আড়াই লক্ষ লোক রোড শোতে করে দেখাবো। আর না করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো।” পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের এটাও অভিযোগ ছিল, “অমিত শাহের রোড শোয়ের দিন বিজেপি বাইরে থেকে লোক এনেছিলো।” আর এবার এই লোক জড়ো করা নিয়ে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।
অনুপম হাজরা সোমবার মমতা ব্যানার্জীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানান, “আপনি কেন আপনার সঙ্গে আপনার দলের যে কয়েকজন নেতা নেত্রী টিকে রয়েছেন তাদেরকে নিয়েও যদি আগামীকাল বোলপুরে র্যালি করেন তাহলে সেই র্যালির জনসংখ্যা অমিত শাহজির র্যালিতে যে জনসংখ্যা হয়েছিল তার ধারে কাছে আসতে পারবে না।”
পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে তিনি খোঁচা দিয়ে বলেন, “আপনার দলের বীরভূমের যিনি সভাপতি রয়েছেন, তিনি নাকি দাবি করেছিলেন আমাদের র্যালিতে নাকি আমরা বাইরে থেকে লোক এনেছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো গতকাল রাত থেকে আপনার সভাপতি কেতুগ্রাম, আউসগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় আপনার দলের নেতা-নেত্রীদের ফোন করেছিল পাঠাবার জন্য। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে। কারণ তিনি এটা নিয়ে কনফিডেন্ট নয় যে আগামীকালের র্যালিতে ভিড় হবে কিনা!”
প্রসঙ্গত, সোমবার বীরভূমে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন এসেই গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেখান থেকে তিনি নতুন একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’। তবে এসবের বাইরে রাজনৈতিক মহলের চোখ এখন আগামীকালের রোড শো-র দিকে।