অমরনাথ দত্ত : বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা সোমবার বোলপুরে স্বচ্ছ ভারতের কর্মসূচি হিসেবে সাফাই অভিযান চালান। আর এই সাফাই অভিযান চালানোর পাশাপাশি রাজ্য এবং জেলার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুরধার আক্রমণ করেন শাসক দলকে। শাসক দলকে আক্রমণ করার পাশাপাশি এদিন তার আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাননি মুখ্যমন্ত্রী এবং বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। নাম না করেই তিনি জানান, ‘দিদির ভাইয়ের দৌলতে বীরভূম পাকিস্তানের মত আলাদা একটি দেশে পরিণত হয়েছে। এখানে দিদিমনির আসতে গেলেও ভিসা লাগবে।’
এদিন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের বিভিন্ন কর্মীসভায় তৃণমূল কর্মীদের রাস্তা নিয়ে সরব হওয়া এবং তা নিয়ে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বলেন, “উনিতো দিদিমনির ছোট ছেলে। আদরে এই অবস্থা। হলে উনি যা খুশি তাই বলবেন, দিদিমনির সাপোর্ট তো আছে তার উপর। কারণ এতদিন আমরা জানতাম দিদিমণি সততার প্রতীক। সেই সততা বেরিয়ে গেল। তার পরে জানলাম দিদিমণি বাংলার নাকি গর্ব। তবে বাংলার গর্ব বলার পরিবর্তে বাংলার গর্ত বলা ভালো। এত জায়গায় রাস্তাঘাটে খাল করে রেখেছে মানুষের অভিযোগ করা তো স্বাভাবিক। কিন্তু তৃণমূলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না, ওখানে সংবিধান বলেও কিছু নেই। মুখে মুখে যা বলে দিল সেটাই আইন।”
এর পরেই তিনি বীরভূম প্রসঙ্গকে টেনে বলেন, “বীরভূমের যা অবস্থা তাতে মুখ্যমন্ত্রী ও যদি বীরভূমে আসতে চান তাহলে উনাকে একটা ভিসা নিতে হবে। আর সেই ভিসা অনুব্রত মণ্ডল ইস্যু করবে। সেই জন্য এটা একটা অন্য দেশ পাকিস্তানের মতো। উনি ওনার কালচার দিয়ে এটা বানিয়ে রেখেছেন, আর উনার ইচ্ছামত যা খুশি তাই করেন। আর ভোটের সময় ভোট লুটেন। আর তৃণমূলের কর্মীদের থেকে পয়সাকড়ি নিয়ে টিকেট ফিকিট দেন।”
এর পাশাপাশি এদিন তিনি আবারো জেসিবি দিয়ে বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙ্গার তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি জানান, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে হয়তো এই ঘটনা দেখে হার্টঅ্যাটাক করতেন। তবে আজ যেমন ওরা জেসিবি নিয়ে বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভেঙেছে আমরা শাসনে এলে ওই জেসিবি চালিয়র তৃণমূলের জট পার্টি অফিস আছে সেগুলো ভাঙবো।”