Diwali Celebration: হিন্দু শাস্ত্রে দীপাবলি উদযাপনের (Diwali Celebration) জন্য বিভিন্ন কিংবদন্তি প্রেক্ষাপট রয়েছে। একটি গল্প বলে জানা গিয়েছে যে, কিভাবে ১৪ বছরের নির্বাসনের পর রাম তার সিংহাসন পুনরুদ্ধার করতে ফিরে আসেন। যে রাতে তিনি ফিরে আসেন, সে রাতটি ছিল অসাধারণ অন্ধকার। তখন সকলে মিলে মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে তাদের স্বাগত জানান। যেহেতু রামের আগমনে দীপাবলি পালন করা হয় তাই সকলের ধারণা যে শুধুমাত্র বাঙালীরা ভারতবর্ষেই এই উৎসব পালন করে থাকে।
কার্তিক মাসের অমাবস্যার সময় পালিত হয় এই দীপাবলী (Diwali Celebration)। মা কালীকে আরাধনা চলে দেশ জুড়ে। রাস্তা থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি সব কিছু সাজানো হয়। বিভিন্ন ফ্যান্সি আলোর চাদরে ঢেকে দেওয়া হয় ঘর বাড়ি। বাড়িতে বাড়িতে জ্বালানো হয় প্রদীপ। কিছু কিছু জায়গায় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানোরও রীতি আছে। কালীপুজোকে বড়ো করে পালন করা হয় বিভিন্ন স্থানে। সেখানে চলে রাত জেগে ঠাকুর দেখাও। ভারত ছাড়াও আরো ৮ দেশে এরকমই ধুমধাম করে পালন করা হয় দীপাবলী উৎসব। তবে এক এক জায়গায় এক এক নামে প্রচলিত এই দীপাবলী উৎসব।
১) প্রথমেই আসি শ্রীলঙ্কার কথায়। এই দেশে প্রচুর হিন্দু ও তামিল সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। তারাই মূলত পালন করেন এই দীপাবলী উৎসব শ্রীলঙ্কাতে। এই দিনে তারা বাড়িতে রঙ্গোলি দিয়ে, আলো লাগিয়ে সাজান। বাড়িতে বিশেষ প্রকারের মিষ্টি বানান তারা।
২) প্রতিবেশী দেশ নেপালেও ধুমধাম করে পালন করা হয় দীপাবলী বা দিওয়ালি উৎসব। সেখানে দীপাবলী তিহার নামে পরিচিত। এটি তাদের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। চারদিন ধরে তারা তিহারের সময় যম রাজের পূজা করেন খুব ঘটা করে। পরের দিন আতস বাজি পুড়িয়ে তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে নিজেদের পরিবারের সাথে আনন্দ করে কাটান তারা। এছাড়াও এই সময় তারা লক্ষ্মী পুজোও করেন।
আরো পড়ুন: জাগ্রত মা কালির গায়ের রঙ সবুজ, মানত করলেই ইচ্ছেপূরণ ১০০%
৩) সিঙ্গাপুরের যেসব জায়গায় ভারতীয়দের বাস বেশি সেখানে ধুমধাম করে তারা দীপাবলী পালন করেন। সিঙ্গাপুরের রাস্তা সেজে ওঠে এই সময় দীপাবলীর আলোতে। সকলে নতুন পোশাক পরিধান করে আনন্দ উৎসবে মত্ত হন। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি খাওয়ার প্রচলন আছে এই দিনে। ভারতীয় ছাড়া সিঙ্গাপুরের অন্যান্য বাসিন্দাও এই উৎসবে মত্ত হন।
৪) মরিশাসে এইদিন এখানকার মানুষ জন আতশবাজি জ্বালিয়ে রাস্তা আলো দিয়ে সাজিয়ে উৎযাপন করেন। হিন্দু রীতিনীতির সাথেই তাদের স্থানীয় রীতিনীতি মিলিয়ে এই উৎসব পালিত হয়।
৫)ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতেও অন্যান্য দেশের মতো আতসবাজি জ্বালিয়ে, ঘর বাড়ি সাজিয়ে, রঙ্গোলী বানিয়ে পালন করা হয়। পরিবারের সকলে এইসময় একসাথে কাটান।
৬) যুক্তরাজ্যতে দীপাবলীর সময় চারিদিক দীপাবলী (Deepavali Celebration) উপলক্ষে আলোয় আলোকিত করা হয়। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও করা হয়। প্রচুর প্রবাসী ভারতীয়রা এই উৎসবে সামিল হন।
আরো পড়ুন: কালীপুজোতে কিভাবে পুজো হয় কালীঘাট কিংবা দক্ষিণেশ্বরে, ভোগেও বা কি দেওয়া হয়
৭) ফিজি দেওয়ালিকে আলোর উৎসব বলে সম্বোধন করেন তারা। সুভা ও লাউটোকাতে বিশেষ করে পালিত হয় এই উৎসব। এই দিনে সকলে নতুন পোশাক পরিধান করেন। বাড়িতে মিষ্টি বানান অনেকেই। এছাড়াও আছে আতসবাজি জ্বালানোর রীতি।
৮) ভারতের মতো মালয়েশিয়াতেও এই উৎসব দীপাবলি নামেই পরিচিত। এই দিন এখানে সরকারি ছুটিও থাকে। ভারতের রীতিমতো এইদিন উৎযাপিত হয়।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কানাডা, ক্যারাবিয়ান দ্বীপপুঞ্জতেও বেশ বড় করে দীপাবলি উৎযাপিত (Diwali Celebration) হয়ে থাকে।