Karuna Nundy: ভারত বাদে আমেরিকার আদালতেও কামাল দেখিয়েছেন এই বাঙালি কন্যা, চিনে নিন এই বাংলার মেয়েকে

Prosun Kanti Das

Updated on:

Advertisements

Karuna Nundy: এই প্রতিবেদনে এমন একজন মহিলা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে যার দিকে তাকিয়ে রয়েছে আরজি কর কাণ্ডের আন্দোলনকারীরা। আরজি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছিল এবং রাজ্যের হয়ে মামলা লড়ছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল৷ স্বনামধন্য আইনজীবী কপিল সিব্বলের সঙ্গে অনেক আইনজীবী এই কেসে রাজ্যকে সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরছে৷ আবার সুপ্রিম কোর্টে জুনিয়র চিকিৎসকদের হয়ে প্রশ্ন করছেন ইন্দিরা জয় সিং৷ তিনি একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী এবং ওনার সঙ্গে রয়েছেন একাধিক তাবড় আইনজীবী৷ করুণা নন্দী তার মধ্যেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

Advertisements

করুণা নন্দী (Karuna Nundy) হলেন একজন দক্ষ আইনজীবী, একাধারে তিনি ভারত এবং নিউইয়র্কে আইনি প্র্যাকটিশ করেন৷ করুণা নন্দীর এই মামলাতে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তা অস্বীকার করা যায় না। মৃত বাঙ্গালী চিকিৎসককে ন্যায় দেওয়ার জন্য এই বাঙালি আইনজীবী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তিনি আসলে একজন প্রবাসী বাঙালি। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের এখন প্রধান ভরসার জায়গা হলো এই প্রবাসী বাঙালি আইনজীবী।

Advertisements

করুণা নন্দীর (Karuna Nundy) বাবা ছিলেন পেশায় একজন চিকিৎসক – নাম সমীরণ নন্দী৷ তিনি গ্যাস্ট্রোইনটেসটিনাল সার্জন এএইএমএস – হৃষিকেশের প্রেসিডেন্ট৷ তার মা হলেন ইন্ডিয়ান স্প্যাসটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা৷ তাঁর নাম সুস্মিতা নন্দী৷ পড়াশোনার দিক থেকে যথেষ্ট মেধাবী ছিলেন তিনি। প্রথমে ইকোনমিক্স নিয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশুনো শেষ করেন৷ তারপর তিনি আইন বিষয় নিয়ে পড়তে চলে যান কেমব্রিজে। করুণা নন্দী প্রথম থেকেই ছিলেন একজন নক্ষত্র যা তার পড়াশোনার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছিল৷ তিনি ছিলেন কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ল সোসাইটির জার্নালে এডিটর ইন চিফ ছিলেন৷

Advertisements

তার (Karuna Nundy) ইংল্যান্ডের পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর চলে যান আমেরিকার কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স করতে। তিনি এতটাই দক্ষ এবং মেধাবী ছিলেন যে ইংল্যান্ড, আমেরিকা এবং ভারত তিনটি দেশের পক্ষ থেকেই ল প্র্যাক্টিস করার লাইসেন্স পেয়ে যান এই প্রবাসী বাঙালি আইনজীবী৷ ‎অ্যাডভোকেট করুণা নন্দী নিজের ক্যারিয়ারে মুখোমুখি হয়েছেন একাধিক দুর্ধর্ষ কেসের। বেশিরভাগ কেস তিনি সুপ্রিম কোর্টে জিতেছেন। তার উল্লেখযোগ্য কেসগুলি হল, পেটিএম বনাম টেলিকম কেস, জিজা ঘোষ বনাম স্পাইসজেট মামলা, শ্রেয়া সিংঘল বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া মামলা৷

আরো পড়ুন: মাত্র ১০০ দিনে যা যা করল তৃতীয় মোদি সরকার, তালিকা দিল কেন্দ্র

পাশাপাশি তিনি বরাবর লড়াই করে এসেছেন মহিলাদের অধিকার রক্ষার্থে বৈবাহিক ধর্ষণের মামলায় বিবাহিত ও অবিবাহিত মহিলাদের অধিকার রক্ষার জন্য৷ এলজিবিটিকিউ সম্পর্কিত বিভিন্ন মামলা সমলৈঙ্গিক বিবাহের মামলাতেও তিনি নানারকম সওয়াল করেছিলেন। একজন দক্ষ আইনজীবীর প্রধান কাজ হল আদালতের যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়ে, আক্রমণাত্মক সওয়াল-জবাব করা। ২০১২ সালে ঘটে যাওয়া দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের ব্যাপারে আমরা সকলেই জানি। সেই কেসের বিচারের পর জাস্টিস ভার্মা কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল অ্যান্টি-রেপ আইনটিকে সংশোধন করার জন্য। সেই সময় আইনের মধ্যে যে একাধিক ছিদ্র ছিল তাকে চিহ্নিতকরণ করে আইনের পরিবর্তন যারা করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট করুণা নন্দী।

সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে আরজি কর মামলায় রাজ্যের হয়ে লড়েছেন কপিল সিব্বল। তার সওয়াল জবাবের সময় চিকিৎসকদের আইনজীবী হিসেবে গীতা লুথরা সেভাবে কেসটিকে জোরালো করতে পারেনি। তবে শেষ অবধি হিয়ারিং ইন্দিরা জয় সিং এবং তাঁর বাকি দলের সদস্যেরা কোর্টরুমে নিজেদের সমস্ত ক্ষমতা দিয়ে লড়াই করেছেন। তবে এই প্রবাসী বাঙালি আইনজীবী সকলের নজর কেড়েছে। ২০২৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হন ভোপালের প্রবাসী বাঙালি৷ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স ওয়েস্ট বেঙ্গলের হয়ে লড়ছেন করুণা নন্দী (Karuna Nundy) ।

Advertisements