নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির কাছে রেশন কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই কার্ডের গুরুত্ব সবথেকে বেশি টের পাওয়া গেছে লকডাউনকালীন। যে সময় কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করার ঘোষণা করা হয়। এমনকি সেই সুবিধা এখনো জারি রয়েছে।
আর যখন দিনের পর দিন রেশন কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম হয়ে পড়ছে সে সময় কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আরও একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। জানা গিয়েছে কেন্দ্র সরকার একাধিক রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে Green Ration Card তৈরি করার জন্য। নতুন এই যোজনায় নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি ১ টাকা কিলো দরে খাদ্যশস্য পাবেন। আর কেন্দ্র সরকারের নিয়ম মেনে খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় রাজ্য সরকার ওই সকল গরিব মানুষদের কাছে এই বিশেষ সুবিধা পৌঁছে দেবে।
ইতিমধ্যেই হরিয়ানা এবং ঝাড়খন্ড সহ একাধিক রাজ্য এই নতুন কার্ড তৈরি করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা আগামী বছরের প্রথম দিকেই একাধিক রাজ্য সরকার এই কার্ড লাগু করতে পারে তাদের রাজ্যগুলিতে। অন্যদিকে ঝারখন সরকার এই কাজ আগামী ১৫ নভেম্বর তাদের রাজ্যে লাগু করতে চলেছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী যে সকল নাগরিকরা এখনো পর্যন্ত রেশন কার্ডের মত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা এই যোজনার আওতায় নিজেদের নথিভুক্ত করতে পারবেন।
Green Ration Card-এর আবেদন পদ্ধতি
Green Ration Card-এর জন্য আলাদা করে কোনো রকম আবেদন পদ্ধতির কথা বলা হয়নি কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। শুধু এটুকুই বলা হয়েছে রেশন কার্ডের জন্য যেভাবে আবেদন করা হয় সেই ভাবেই আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ খাদ্য বিভাগ অফিস এবং পিডিএস সেন্টারগুলিতে এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। এর পাশাপাশি যে সকল রাজ্যের যোজনা শুরু হচ্ছে সেই সকল রাজ্যের অনলাইন ব্যবস্থাপনা থাকলে অনলাইনেও আবেদন করা যাবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
রেশন কার্ডের মতই এই যোজনা সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদনকারীকে আধার কার্ড মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ভোটার কার্ড সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
যোজনা সুবিধা
এই যোজনায় যেসকল উপভোগক্তারা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ পাবেন তারা প্রতি মাসে পাঁচ কেজি করে রেশন পাবেন। মূল্য নেওয়া হবে মাত্র এক টাকা কিলো। বিপিএল কার্ড হোল্ডাররাই এই সুবিধা পাবেন বলে জানা গিয়েছে। এই যোজনা কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে চালু করা হলেও তা লাগু করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের এবং পরিচালনার দায়িত্বও তাদের।