Apply process in swami vivekananda scholarship: রাজ্যের মেধাবী অথচ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য রাজ্য সরকার এনেছে একাধিক প্রকল্প। কোন ছাত্র-ছাত্রী টাকার অভাবে নিজেদের পড়াশোনা আর বন্ধ করবেন না। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য চালু করা হয়েছে কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রী, মেধাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের (Swami Vivekananda Scholarship) মতো প্রকল্পগুলি। যেসব বাবা মায়েরা আর্থিকভাবে দুর্বল তারা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পরে নিজেদের সন্তানের পড়াশোনা সহজেই চালু রাখতে পারবে।
পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট-কুম-মিডিয়ান স্কলারশিপ (Swami Vivekananda Scholarship) প্রদান করে থাকে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার খরচের একটি বড় অংশ বহন করতে পারে। পড়ুয়াদের স্কলারশিপের আওতায় দেওয়া হবে বার্ষিক ১২ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃত্তি। এই প্রকল্পে স্নাতকোত্তর এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অন্যান্য সকল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল কিন্তু মেধাবী সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের উচ্চতর পড়াশোনা যাতে বন্ধ না হয়ে যায় সেই কারণেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এই স্কলারশিপ (Swami Vivekananda Scholarship) পাওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের ন্যুনতম ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হিন্দু ধর্মের পড়ুয়াদের আবেদন করার জন্য যেতে হবে https://svmcm.wbhed.gov.in/ সাইটে। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের আবেদন করার জন্য https://wbmdfcscholarship.org/ সাইটে যেতে হবে। মাধ্যমিক পাস করার পর পড়ুয়ারা এই স্কলারশিপটি পেতে পারে। একাদশ শ্রেণিতে ৬০ শতাংশ নম্বর পেলেও তা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ আবেদনের যোগ্য নয়। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর থেকে শুরু করে, যতদিন অব্দি পড়াশোনা চলবে ততদিন পড়ুয়ারা এই স্কলারশিপের সুবিধা পেতে পারে। এই স্কলারশিপ এর সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রত্যেকটি পরীক্ষায় অন্তত ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। তবে, মাস্টার্স ডিগ্রি করার সময়ে ৫৩ শতাংশ নম্বর পেলেও চলবে।
এই স্কলারশিপ পেতে গেলে কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন? আবেদনকারী অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা এবং রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া হবে। পারিবারিক বার্ষিক আয় হতে হবে আড়াই লাখ টাকা নিচে। আবেদনকারীকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। এছাড়াও মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমাসহ যেসমস্ত কোর্স রয়েছে, সেখানে ভর্তির জন্যও স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে (Swami Vivekananda Scholarship) আবেদন করতে হবে। এছাড়া যেসব ছাত্রীরা কন্যাশ্রীর K1 ও K2 পেয়েছে, তারা যদি মাস্টার্সে ৪৫ শতাংশ মার্কস পেয়ে ভর্তি হয় তারাও ২৪ হাজার বা ৩০ হাজার টাকা পাবে।
এর পাশাপাশি মেধাবী দুস্থ ছাত্র-ছাত্রীরা একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময়ে বছরে ১২ হাজার টাকা পাবে। স্নাতক স্তরে পড়ার সময় প্রতি বছর ১২ হাজার টাকা করে, বিএড এবং মাস্টার্স ডিগ্রি করার সময়ে বছরে ২৪ হাজার টাকা করে পাওয়া যায়। উচ্চতরো পড়াশোনা চালিয়ে রাখার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-এর মাধ্যমে ঋণ নিতে পারবেন পড়ুয়ারা। এতে পড়ুয়ারা লেখাপড়ার জন্য সর্বাধিক ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারেন। মাত্র ৪% হারেই এই ঋণ পাওয়া যাবে।