লাল্টু : গত মার্চ মাস থেকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বীরভূম জেলা পুলিশ তাদের পরিবারের কথা না ভেবে নিজেদের জীবনকে বাজি রেখেছে। পুলিশ করোনাভাইরাস থেকে সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচাতে, সচেতন করতে পাশে থেকেছে এবং থাকছে।
করোনাভাইরাসের সময়কালে পুলিশ কখনও হাতজোড় করে বাড়ির মধ্যে থাকতে বলেছেন, কখনো আবার মানুষকে সচেতন করতে করােনা সেজে রাস্তায় ঘুরছেন, কখনো আবার মানুষের মধ্যে একঘেয়েমি কাটাতে মানুষকে আনন্দ দিতে হাতে মাইক্রোফোন তুলে গান গেয়েছেন, আবার বিলি করেছে মাস্ক, আবার লকডাউনে বাচ্চাদের মন যাতে ভেঙে না যায় সেই জন্য অঙ্কন প্রতিযোগিতাও করেছেন, লকডাউনে কেউ খেতে না পেলে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে খাদ্য সামগ্রী, এমনকি দুবরাজপুর সহ বীরভূমের অধিকাংশ থানাতেই লকডাউন শুরু থেকে দেখা গিয়েছে গরীব ও দুঃস্থদের রান্না করে খাবার খাওয়ানো।
দুবরাজপুর থানার পুলিশ দুমাসের উপর গরীব ও দুঃস্থদের নিত্যনতুন খাবার দিয়েছে। খাবারের প্রত্যেকদিনই কোনোদিন মাছ, কোনদিন মাংস বা ডিম দেওয়া হয়েছে। এমনকি যারা নিরামিষ খেতেন তাদের জন্য ছিল আলাদা ব্যবস্থা। এছাড়াও লকডাউন সফল করতে শহর থেকে গ্রাম টহল দেওয়া তাে রয়েছে।
করোনাভাইরাসের শুরু থেকেই পুলিশ প্রথমসারির যোদ্ধা হয়ে কাজ করছে। পুলিশের নিজস্ব ডিউটি ছাড়াও করোনার বিরুদ্ধে মানুষের জীবন বাঁচাতে ২৪ ঘন্টায় পরিশ্রম করে চলার ফলে দীর্ঘদিন বাড়ি যাওয়া হয়নি বেশিরভাগ পুলিশকর্মীর। পরিবারের নিজের প্রিয়জনদের দীর্ঘদিন দেখতে না পেয়ে পুলিশ কর্মীরা যাতে মানসিকভাবে ভেঙ্গে না পড়েন সেই দিকেও নজর রয়েছে জেলা পুলিশ আধিকারিকদের। পুলিশ কর্মীরা যাতে মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ থাকেন সেই জন্য বীরভূম পুলিশের উদ্যোগে দুবরাজপুর, লোকপুর, মহঃবাজার সহ বীরভূমের থানায় বসানো হয়েছে সুসজ্জিত অ্যাকোরিয়াম। উদ্দেশ্য একটাই পুলিশকর্মীদের মানসিক শান্তি ও মনোবল বাড়ানো। অন্যদিকে এই অ্যাকোরিয়াম থানায় কাজে আসা মানুষদের কিছুটা মানসিক শান্তি দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।