নিজস্ব প্রতিবেদন : মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে মুম্বাইয়ের তারকা শিল্পী হয়েছেন অরিজিৎ সিং। তবে আর পাঁচটা মানুষের ক্ষেত্রে এমন তারকা হয়ে ওঠার পর যে ধরনের আচরণ দেখা যায় সেই ধরনের আচরণের বিন্দুমাত্র নেই অরিজিৎ সিং-এর মধ্যে। অরিজিৎ সিং একেবারে সাদামাটা ভাবেই নিজের জীবন যাপন করেন। তার এই সাদামাটা আচরণের পরিচয় তিনি ফের একবার দিলেন।
আমাদের অধিকাংশদের ক্ষেত্রেই দেখা যায় বড় হয়ে যাওয়ার পর ভুলতে বসি নিজেদের স্কুল, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। ৫ সেপ্টেম্বর যখন শিক্ষক দিবস আসে সেই সময় আবার তাদের মনে পড়ে। কিন্তু অরিজিৎ সিং এর বাইরে অনেক কিছু প্রমাণ করলেন। সম্প্রতি তিনি পৌঁছেছিলেন নিজের ছোটবেলার স্কুলে। সেখানে গিয়েই তাকে দেখা যায় সাধারণ সাদামাটা মানুষের মতো ক্লাস ফাইভের ইংরেজি শিক্ষিকার পায়ের কাছে বসে কত্ত গল্প করতে।
বিখ্যাত হয়েও কিভাবে একজন অমায়িক সাধারণ মানুষ হয়ে থাকা যায় সেটাই প্রমাণ করেছেন তিনি। এই যুগে যেখানে আমিত্বই হলো সবচেয়ে বড় কথা সেই জায়গায় অরিজিৎ সিং বারংবার প্রমাণ করে আসছেন নিজেকে একেবারে আলাদাভাবে। যে কারণেই এই অরিজিৎ সিং যেমন তার গানের জন্য দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম একজন জনপ্রিয় শিল্পী হয়ে উঠেছেন, ঠিক তেমনি তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন নিজের স্বভাবের জন্য।
অরিজিৎ সিং নিজের জন্মস্থান মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জেই বড় হয়ে উঠেছেন। অনেক শিল্পীদের ক্ষেত্রেই দেখা যায় কাজের জন্য অথবা অন্য বিভিন্ন কারণে জন্মস্থান ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দেন বিশেষ করে মুম্বাই অথবা অন্য কোন বড় শহরে। তবে অরিজিৎ সিং এই সকল শহরে পাড়ি দিলেও অধিকাংশ সময় কাটান মুর্শিদাবাদের নিজের এলাকাতেই।
অরিজিৎ সিং সম্প্রতি তার ছেলেবেলার স্কুলের যে শিক্ষিকার পায়ের কাছে বসে গল্প গুজব করেছিলেন তার নাম সুনিতা লাহিড়ী। সেই মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হওয়ার পর ভাইরাল হয়ে যায়। এই বিষয়ে ওই শিক্ষিকা জানিয়েছেন, “অরিজিৎ পঞ্চম শ্রেণী থেকেই আমাদের স্কুলে পড়াশোনা করতো। বৃহস্পতিবার সে আমাদের স্কুলে আসে। আজও বড় গায়ক হয়েছে কিন্তু মানুষ হিসাবে একেবারে সহজ-সরল এবং সাদামাটাই থেকে গিয়েছে।” এই প্রসঙ্গে বলা ভালো, অরিজিৎ সিং গত ১৩ এপ্রিল নিজের ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নেন।