করোনাকালে হারিয়েছেন মাকে, গ্রামের পাশে দাঁড়াতে টানা ২ ঘন্টা গান অরিজিৎ-এর

Sangita Chowdhury

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : শোক মানুষকে অনেক সময় মহৎ করে তোলে। আকাশের মত উদার হতে শিক্ষা দেয়। এই কথার সবথেকে বড় উদাহরন গায়ক অরিজিৎ সিং। মাতৃ বিয়োগের পর গায়ক করোনাযুদ্ধে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বারংবার।

Advertisements

সপ্তাহ খানেক আগে অরিজিৎ সিং এর মা করোনা সংক্রমিত হন। সেই সময় নিজের মায়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে তিনি ব্লাডের জোগাড় পেয়েছিলেন। এরপর সাধারন মানুষের অভাব অনুভব করে তিনি একটি পোস্ট করে লিখেছিলেন সকলকে সকলের পাশে দাঁড়াতে। তার পাশে মানুষজন যেভাবে দাঁড়িয়েছেন একজন সাধারন মানুষের বিপদেও যেন সেভাবেই সকলে দাঁড়ান এই আর্জি রেখেছিলেন তিনি।

Advertisements

মায়ের জন্য নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত পাওয়ার পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, “এটা আমার বিনীত অনুরোধ যে, আমার নাম দেখে অতিরিক্ত কিছু করবেন না। প্রত্যেকের সমান অধিকার আছে, তাই সকলের দিকেই আপনারা সমানভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।” তার এই পোস্টটিই প্রমাণ করে দিয়েছিলো তিনি সকলের থেকে আলাদা।

Advertisements

করোনা থেকে সেরে উঠেছিলেন গায়কের মা অদিতি সিং, কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগে হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে এবং মারা যান। মায়ের মৃত্যুর পর গায়ক অনুভব করেছিলেন, করোনায় কত মানুষ অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন। তাই নিজের জেলার মানুষদের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়াতে মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে পাঁচটি হাই ফ্লোনেজাল অক্সিজেন থেরাপি মেশিন তুলে দেন গায়ক।

এখানেই শেষ নয় তিনি কথা দিয়েছিলেন যে ফেসবুকে অনলাইন কনসার্ট করে সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ গ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন খাতে দান করবেন, সেই কথাও রাখলেন তিনি।

রবিবার ‘গিভ ইন্ডিয়া’র সাথে আয়োজিত একটি অনলাইন কনসার্টে রাত আটটায় হাজির হন গায়ক তারপর টানা ২ ঘন্টা ধরে গাইতে থাকেন তিনি। এই কনসার্টটি সকলের মন কেড়ে নিয়েছিল। এখানেই তার গাওয়া নতুন গান ‘জানে বাচায়েঙ্গে’ সকলকে মুগ্ধ করে তোলে।

এই অনলাইন কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থে গ্রামের হাসপাতালেই এমআরআই সিটিস্ক্যানের মতো বিভিন্ন পরীক্ষার যন্ত্রপাতি কিনবেন অরিজিৎ সিং। অরিজিৎ সিং এর গান মানে তো এমনিতেই হিট, আর তার গানের পিছনে যখন লুকিয়ে থাকে এমন মহান একটি উদ্যোগ তখন সম্পূর্ণ মানুষটি সকলের কাছে সুপারহিট হয়ে ওঠেন মুহূর্তেই।

Advertisements