নিজস্ব প্রতিবেদন : হাতে মাত্র দু’বছর, তার পরেই রয়েছে ফাইনাল অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের লড়াই। তবে তার আগে বৃহস্পতিবার পাঁচ রাজ্যের যে ফলাফল পাওয়া গেল তাকেই সেমিফাইনাল হিসেবে ধরে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সেমিফাইনালে সন্তোষজনক ফলাফল করেছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। পাঁচ রাজ্যের চারটিতেই সরকার গড়তে চলেছে তারা।
এবারের এই নির্বাচনে ফ্যাক্টর ছিল অজস্র। করোনা, কৃষি আইন, পরিযায়ী শ্রমিক, দেশের অর্থনীতির টালবাহানা, মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি। তবে এই সকল ফ্যাক্টর গেরুয়া ঝড়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। ভোটে কংগ্রেস একপ্রকার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারল না কেবলমাত্র কেজরিওয়ালের দল ছাড়া। এখন আশার আলো এই কেজরিওয়াল ও তার দল। যখন অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ধরাশায়ী অবস্থা সেই সময়ই কেবলমাত্র আম আদমি পার্টির রকেটের মতো উত্থান হয়েছে পাঞ্জাবে।
এসবের মধ্যেই এবার প্রশ্ন উঠছে কে হবেন বিরোধী জোটের মধ্যমণি? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এযাবত যাকে বিরোধী জোটের মধ্যমণি হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছিল অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তার দল ত্রিপুরা, গোয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। অন্যদিকে তিনি উত্তরপ্রদেশে প্রচারে গিয়েও ঝড় তুলতে পারেননি।
অন্যদিকে আবার কংগ্রেসের ভরাডুবির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এই সময় পাঞ্জাবে রকেটের মতো উত্থান হয়েছে আম আদমি পার্টির। আম আদমি পার্টি এবং কেজরিওয়ালের এইভাবে উত্থানের পর রাজনৈতিক মহলের একাংশের মনে করছেন, বিরোধী মুখ হিসাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উত্থান একরকম রকেটীয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঞ্জাবে তাক লাগানো ফলাফলের পর গোয়াতেও দুই আসনে জয়। এই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের বিরোধী হিসাবে আগামী দিনে বিরোধী শিবিরের মধ্যমণি হওয়ার দৌঁড়ে রয়েছেন একমাত্র কেজরিওয়াল।