নিজস্ব প্রতিবেদন : পরিকাঠামোগত দিক দিয়ে দিনের পর দিন, একের পর এক পরিবর্তন আনার পর এবার ভারতীয় রেল (Indian Railways) নজর দিচ্ছে রেলের গতির দিকে। রেলের গতির দিকে নজর দিতে গিয়ে ইতিমধ্যেই রেলের তরফ থেকে ভারতের রেল ট্র্যাকে নামানো হয়েছে সেমি হাই স্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নামানো হয়েছে দ্রুতগতির নমো এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস।
তবে এই সকল ট্রেনের পাশাপাশি ভারতীয় রেলের তরফ থেকে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতি ট্রেন হিসাবে বুলেট ট্রেনের কাজ চালানো হচ্ছে। আর এই বুলেট ট্রেনের হাত ধরেই ভারত নতুন একটি ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে। কেননা বুলেট ট্রেনের হাত ধরেই ভারতে তৈরি হবে দেশের প্রথম সমুদ্রের তলায় রেল ট্র্যাক (Undersea Rail Network)। এই টানেলের ভিতর দিয়েই দেশের প্রথম সমুদ্রের তলায় ট্রেন ছুটবে।
বিশ্বে খুব কম সংখ্যক দেশ রয়েছে যে সকল দেশে সমুদ্রের নিচ দিয়ে ছুটে যায় ট্রেন। বিশ্বে এমন নজির রয়েছে মাত্র পাঁচটি দেশে। আর সেই সকল দেশের তালিকায় এবার ষষ্ঠ দেশ হিসাবে ভারত সমুদ্রের তলায় ট্রেন ছুটিয়ে নাম তুলবে। ভারতের তরফ থেকে এমন ইতিহাস তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যেই দ্রুতগতিতে কাজ চালানো হচ্ছে। আর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত এমন নজির সৃষ্টি করে ফেলবে।
আরও পড়ুন ? Puri: পুরীর সমুদ্রের উল্টো দিকে কী রয়েছে? আপনি নিজেও ভাবতে পারবেন না
মুম্বাই থেকে আমেদাবাদ যে হাই স্পিড রেল করিডোর তৈরি করা হচ্ছে বুলেট ট্রেনের জন্য সেই করিডরের মধ্যে মুম্বাই থেকে থানে পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার টানেল তৈরি করা হবে। এই ২১ কিলোমিটার টানেলের মধ্যে ৯.৭ কিলোমিটার টানেল তৈরি হবে সমুদ্রের নিচে। সমুদ্রের নিচে এই টানেলটি থাকবে বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স এবং সিলফাটার মাঝে। মহারাষ্ট্রে তৈরি হবে দেশের প্রথম সমুদ্রের নিচে রেল টানেল।
দেশের প্রথম যে সমুদ্রের নিচে রেল টানেল তৈরি হবে সেটি মূলত একটি টিউব টানেলের মাধ্যমেই তৈরি হবে। তবে এই টানেলের মধ্যে থাকবে দুটি লাইন। একটি লাইন ব্যবহার করা হবে আপ এবং অন্য লাইনটি ব্যবহার করা হবে ডাউন ট্রেন চলাচলের জন্য। ভারতে তৈরি হতে চলা প্রথম সমুদ্রের নিচে রেল ট্র্যাক ভারতীয় নাগরিকদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। কেননা এর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় চলে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।