নিজস্ব প্রতিবেদন : পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের আওতায় থাকা বিভিন্ন রেল স্টেশনে বেশ কয়েকদিন ধরেই নতুন করে ট্রেন চলাচল নিয়ে প্রস্তুতি নজরে আসছিল। যারপরেই দ্রুত এই ডিভিশনের বিভিন্ন রুটে খুব শীঘ্রই ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে মনে করছিলেন যাত্রীরা। আর এরই সংকেত পাওয়া গেল মঙ্গলবার। আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা সমস্ত রকম ভাবে প্রস্তুত। নতুন করে ট্রেন পরিষেবা চালু করার বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে একাধিক বৈঠক চলছে। রেল বোর্ড সবুজ সংকেত দিলেই পুনরায় চালু হয়ে যাবে ট্রেন পরিষেবা।
আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম সুমিত সরকার জানিয়েছেন, কোন কোন রুটে, কোন কোন ট্রেন চালানো হবে তার তালিকাও প্রস্তুত হয়ে গেছে। পাশাপাশি কর্মচারীদের ইউনিয়ন এবং আরপিএফের সাথে বৈঠকও সেরে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে সমস্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই এই ডিভিশনের আওতায় থাকা বিভিন্ন রেলস্টেশন যেমন আসানসোল, দুর্গাপুর, পানাগড়, জেসিডি, মধুপুর, সিউড়ি সহ বেশ কয়েকটি রেলস্টেশনে মোতায়েন করা হয়েছে আরপিএফ। তবে এই ডিভিশনে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু করার ক্ষেত্রে বাধা হল তিন রাজ্যের সম্মতি। কারণ এই ডিভিশন থেকে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড এবং বিহারে ট্রেন চলাচল করে।
আসানসোল ডিভিশনে থেকে এযাবৎ ৭০ জোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল করত। সেই জায়গায় পুনরায় ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার সময় ৩০ থেকে ৪০ জোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল শুরু করানো হতে পারে। যে সকল ট্রেনগুলি পুনরায় চালু করার বিষয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে সেই তালিকা পূর্ব রেলের সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। আর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের শেষের দিকেই এইসকল প্যাসেঞ্জার ট্রেন গুলির চাকা পুনরায় গড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ১১ নভেম্বর থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়ার পর আসানসোল ডিভিশনের বিভিন্ন রেলস্টেশনে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু করার দাবিতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ ডেপুটেশন জমা পড়েছে বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে। এমত অবস্থায় দ্রুত এই সকল এলাকাগুলিতে ট্রেন চলাচল শুরু না করলে ক্ষোভ আরও বাড়বে এবং তা পরে বৃহত্তম বিক্ষোভের আকার নিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।