নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যে সকল ব্যক্তিরা সবথেকে বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বারংবার তাকে ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার এবং বিজেপির প্রধান মুখ হয়ে ওঠা। এমনকি সেই জল্পনাকে উস্কে দিয়ে একাধিকবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে রাজভবনে দেখা গিয়েছে। তবে তা হয়নি এবং বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে দেখাতে পারেনি।
তবে যে সময় এই জল্পনা সবথেকে তুঙ্গে সেই সময় বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্যকে সুদূর শিলিগুড়ি থেকে বেহালার সৌরভের বাড়িতে আসতে দেখা যায়। আর সেখানে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে রাজনীতিতে আসতে বারণ করেন। তবে অশোক ভট্টাচার্যের পরামর্শেই কিনা জানা নেই, কিন্তু শেষমেশ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আয়ার রাজনীতিতে পা বাড়াননি।
আর এসবের মাঝেই যখন একুশের বিধানসভা নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে ফলাফল সামনে এলো সেই সময় দেখা গেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের পুনরায় রাজ্যের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন হল। তৃণমূলের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পাশাপাশি ৭৭টি বিধানসভা দখল করে শক্তি বাড়ানো বিজেপি। কিন্তু বাম কংগ্রেস শূন্য! আর এই দলের ধুলিস্যাৎ অবস্থায় অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘সৌরভকে আটকালো বামেরা, কিন্তু তার লাভের গুড় খেলো তৃণমূল।’
শিলিগুড়ি বিধানসভা নির্বাচনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অশোক ভট্টাচার্য তৃতীয় স্থান দখল করেছেন। এই নির্বাচনে এই ভরাডুবির পর তিনি একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার মুখোমুখি হন এবং বলেন, “সৌরভের বিজেপিতে যাওয়া আটকাতে আমি ছুটে গিয়েছিলাম। আমি তাকে বুঝিয়েছি। ও বিজেপিতে গেলে ওর ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারতো। পাশাপাশি বাংলার মেয়ে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে মহারাজের লড়াইয়ে এলে বিজেপির ফলাফল আলাদা হতে পারতো। আমি ওকে বুঝিয়ে না করিয়েছিলাম। কিন্তু এসব করেও আমরা ফল পেলাম না।” অর্থাৎ অশোক ভট্টাচার্য খোলাখুলি জানিয়েদিলেন, তিনি সৌরভকে আটকে ছিলেন এবং তাতেই বিজেপির রথ আটকানো গেলেও দলের কোনো লাভ হলো না। আরও বেশি লাভ হলো তৃণমূলের।
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, ভোটের আগে গত বছর সৌরভ গাঙ্গুলীর সাথে অশোক ভট্টাচার্য সাক্ষাৎ করার পর দুজনের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন এবং সেখানে রাজনীতির আলোচনা প্রসঙ্গে এই কথাগুলি তুলে ধরেছিলেন যাতে করে মহারাজ রাজনীতিতে পা রাখেন।