Supreme Court: তফসিলি জাতি ও উপজাতির সংরক্ষণে বড়ো পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সাম্প্রতিক রায় নিয়ে মন্ত্রিসভার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর বৈষ্ণব জানান, সংবিধানে এসসি-এসটির জন্য কোনও উপশ্রেণি নির্ধারণের বিধান নেই। তাঁর মন্তব্যে আরও স্পষ্ট হলো যে, বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধানে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য ‘ক্রিমি লেয়ার’ বা উন্নত শ্রেণির ধারণা যুক্ত করা হয়নি।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে যে, এসসি ও এসটির মধ্যে যেসব গোষ্ঠী তুলনামূলকভাবে উন্নত, তাদের চিহ্নিত করে সংরক্ষণের সুযোগ থেকে বাদ দিতে হবে। এর ফলে রাজ্যগুলির উপর আরও দায়িত্ব পড়েছে সংরক্ষণের সুবিধা বণ্টনে। এই বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিসভায় বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে, এবং বৈষ্ণব স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংরক্ষণের বিষয়টি সংবিধানের নিয়ম মেনে চলতে হবে।
বৈঠকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোনও নির্দিষ্ট মতামত দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে, বৈষ্ণব বলেন, এটি মন্ত্রিসভার সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি। তবে আইনি পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা তা নিয়ে মন্ত্রী মন্তব্য করতে রাজি হননি, যা ভবিষ্যতে একটি বড়ো বিতর্কের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আরো পড়ুন: শুধু ইজরায়েল নয় বর্তমানে ভারতের ঝুলিতেও আছে আয়রন ডোমের থেকে শক্তিশালী অস্ত্র
এর আগেই, এসসি ও এসটি সাংসদের একটি বিশেষ দল প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। মোদীও তাঁর এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডেলে বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন, যা জনমনে জল্পনা সৃষ্টি করেছে। প্রসঙ্গত, চলতি মাসে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ৭ বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন, যেখানে ৬ জন বিচারপতি এসসি ও এসটির মধ্যে উপশ্রেণি চিহ্নিত করার পক্ষে মত দেন। বিচারপতিরা আরও বলেন, রাজ্য সরকারগুলিকে তফসিলি জাতি ও উপজাতির মধ্যে অতি পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে শনাক্ত করতে হবে এবং তাদের সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য নীতি প্রণয়ন করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় যে দেশের সংরক্ষণ নীতিতে বড়ো পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে, তা স্পষ্ট। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সংরক্ষণ বণ্টনের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে, এবং ভবিষ্যতে এটি একাধিক বিতর্কের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।