Nadia: কথায় আছে কারো পৌষ মাস তো কারো সর্বনাশ। তেমনি কখন যে কার ভাগ্যে লটারি মেলে তা কেউ জানে না। সম্প্রতি সেরকমই লটারির মাধ্যমে রাতারাতি ভাগ্যের লটারি মিলল নদিয়ার (Nadia) অসীমবাবুর। জিতলেন প্রায় কোটি টাকা। যা তার ভাবনার বাইরে। খুশিতে আত্মহারা হয়ে কি করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না অসীমবাবু। তারপরেই তিনি এই কোটি টাকা জিতে যা করলেন তা দেখার মতো। কে এই অসীমবাবু? কি তার পরিচয়? তিনি কিভাবে জিতলেন কোটি টাকা? তা দিয়ে তিনি কি করলেন?
আর পাঁচটা সাধারন মানুষের মতোই খেটে খাওয়া মানুষ হলেন নদিয়ার অসীম দত্ত। নদিয়া (Nadia) জেলার তেহট্ট থানার অন্তর্গত নজিরপুর বাগডোবা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। লটারি বিক্রি করে দিন চলে তার। সর্বক্ষণ মাথায় চিন্তা থাকে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা, সংসার চালানো বিষয়ে। ভেবেই নিয়েছিলেন যে এইভাবেই হয়তো দারিদ্রতার মধ্যে দিয়ে কাটাতে হবে জীবন। কিন্তু ২৮শে অক্টোবর যে তার জন্য চমক অপেক্ষা করছে তা তার জানা ছিল না। রাতারাতি যে তিনি কোটিপতি হয়ে উঠবেন তা ছিল ভাবনার বাইরে। কিভাবে হয়ে উঠলেন কোটিপতি?
আরো পড়ুন: আগামী মাসেই বারাসাতে বন্ধ হবে ফ্লাইওভার; বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না কোন যানবাহন
জানা যায় ৪২ বছর বয়সী অসীমবাবুর লটারি টিকিট বিক্রিতে বেশ কিছু টিকিট তার কাছে রয়ে যায়। আর সেই বিক্রি না হওয়া টিকিটগুলিতেই দান লেগে যায় অসীমবাবুর। পেয়ে যান একেবারে কোটি টাকা। ২৮শে অক্টোবর রাত্রি বেলায় জানতে পেরে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান অসীমবাবু। বুঝতে পারছিলেন না যে তিনি এত টাকা দিয়ে কি করবেন। তারপরেই এই খুশির মুহূর্ত উদযাপন করলেন ১০৮ ঢাকি নিয়ে। এত ঢাকি নিয়ে কিভাবে উদযাপন করলেন এই পুরস্কার প্রাপ্তির মুহূর্ত?
আরো পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিরাট আপডেট! ছুটির তালিকার সাথেই প্রকাশ্যে এলো DA বৃদ্ধির খবর
কোটি টাকার পুরস্কার পেয়ে নদিয়ার (Nadia) অসীমবাবু সিদ্ধান্ত নেন ধুমধাম করে কালীপূজা করার। আর সেই মতো শনিবার বাগডোবা গ্রামে কালীপূজার বিরাট আয়োজন করেন। ১০৮ জন ঢাকি নিয়ে উদযাপন করেন এই খুশির মুহূর্ত। তবে এত ঢাকি নদিয়ায় পাওয়া যায়নি। তাই নদিয়ার পাশাপাশি পাশের জেলা মুর্শিদাবাদ থেকেও প্রত্যেক ঢাকিদের পারিশ্রমিক দিয়ে আনা হয়। নতুন ধুতি, গেঞ্জি পড়ে ১০৮ ঢাকি সহ লোকজন নিয়ে শনিবার শোভাযাত্রাতেও বের হন অসীমবাবু। চারটি কালী প্রতিমার পুজো করা হয়। তবে শুধু কালীপুজো নয়, পাশাপাশি খিচুড়ি প্রসাদ ভোজনেরও ব্যবস্থা করেন অসীমবাবু। প্রায় হাজার দুয়েক মানুষ খিচুড়ি, তরকারি, আলুর দম, মিষ্টি পেট ভরে খান। তবে বিরাট উদযাপনের পাশাপাশি তিনি বাকি টাকা কি করবেন তাও জানান।
বাকি টাকার প্রসঙ্গে অসীমবাবু জানান তিনি তার ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য কিছু টাকা রাখবেন। তবে তিনি কোটিপতি হয়ে তার ব্যবসা ছাড়বেন না। তিনি তার লটারির টিকিট বিক্রির দোকানটাকে আরো পাকাপোক্ত করবেন বলে জানান। কারণ এই লটারি ব্যবসায়ী হল তার লক্ষ্মীর ভান্ডার।