নিজস্ব প্রতিবেদন : সদ্য গঠন হওয়া পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিধায়কদের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে চাঁদের হাট। বিধায়কদের তালিকায় কেউ রয়েছেন চিকিৎসক, কেউ রয়েছেন খেলোয়াড়, কেউ রয়েছেন পোড়খাওয়া রাজনীতিক, কেউ আবার সমাজসেবী, কেউ কেউ আবার টলি জগতের তারকা। আর এই শান্তির হাট বিধানসভাকে নিয়ে এবার শাসকদল তৃণমূল একাধিক নয়া ফর্মুলার পাশাপাশি পরিকল্পনা তৈরি করছে। আর এইসব ফর্মুলার পাশাপাশি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বিধানসভায় সোহম, লাভলীর মতো বিধায়ক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিধায়করা কে কোথায় বসবেন।
বর্তমান করোনাকালে বিধানসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হলেও নানান নিয়ম মেনে বিধায়কদের বসতে হচ্ছে। বিধানসভায় প্রবেশ থেকে বসার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ফেস মাস্ক এবং স্যানিটাইজার। পাশাপাশি মেনে চলতে হচ্ছে অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি। পাশাপাশি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে বসার জন্য ছোট-ছোট ব্লক ভাগ করা হয়েছে। আর এই সকল ব্লকেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া জনপ্রতিনিধিরা বিধানসভায় বসবেন। উদাহরণস্বরূপ চিকিৎসা ক্ষেত্রে থেকে আসা বিধায়কদের জন্য নির্দিষ্ট একটি ব্লক রয়েছে।
এই সকল ব্লকের একটিতে একসাথে বসবেন গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাত, উলুবেড়িয়া উত্তরের নির্মল মাজি, বালির রানা চট্টোপাধ্যায়, শ্রীরামপুরের সুদীপ্ত রায়, মুরারইয়ের ডাঃ মোশারফ হোসেনের মত বিধায়করা। কারণ তারা প্রত্যেকেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে থেকে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন।
ঠিক একইভাবে একটি ব্লক তৈরি করা হয়েছে যেখানে টলিউড এবং সঙ্গীতজগত থেকে উঠে আসা বিধায়করা। এক্ষেত্রে যাদের নাম রয়েছে তারা অবশ্যই লাভলী মৈত্র, জুন মালিয়া, অদিতি মুন্সির মত জনপ্রতিনিধিরা। পাশাপাশি সোহম চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, রাজ চক্রবর্তীদের বসার জন্য আরও একটি আলাদা ব্লক তৈরি করা হয়েছে। একইভাবে কলকাতা পৌরসভা থেকে জিতে এসেছেন যে সকল বিধায়করা তারাও একটি আলাদা ব্লকে বসবেন।
কিন্তু কেন এমন ব্যবস্থাপনা? এই ব্যবস্থাপনার কারণ হিসাবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এর ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে ঠিক তেমনি একই জগতের মানুষ হওয়াই তৈরি হবে মানসিক সাযুজ্য। খুব স্বাভাবিক ভাবেই একই জগত থেকে উঠে আসা জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে দ্রুত মেলবন্ধন তৈরি করতে পারবেন।