লাল্টু : দাদা মারা যাওয়ার পর বৌদি এবং ছেলেদের দেখভালের দায়িত্ব নিয়ে বৌদিকে বিয়ে করেন দেওর। তবে সেই সম্পর্কও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। সম্পর্কের টানাপড়েনে বাধ্য ফের তারা আলাদা হয়ে যান তারা। তবে আলাদা হয়ে যাওয়ার পরেও সৎ ছেলেকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল সৎ বাবা বা কাকার বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুর পৌরসভার অন্তর্গত ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুরে। বৃহস্পতিবার সকাল বেলায় এমন নৃশংস ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি ১৬ বছর বয়সী শেখ শাহাদাত। অন্যদিকে অভিযুক্ত শেখ সুকুরও গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নুরেফা বিবির স্বামী মারা যাওয়ার পর তার দেওর সেখ শুকুর তাকে বিয়ে করেন। এরপর শুরু হয় সম্পর্কের টানাপোড়েন। এই টানাপোড়েনের জেরে তারা একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার যখন নুরেফা বিবির বড় ছেলে শেখ শাহাদাত গোয়াল ঘর থেকে আবর্জনা পরিষ্কার করছিলেন সেই সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার মাথা ও গলায় কোপ মারেন শুকুর।
ঘটনার পর তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল থেকে আহত শাহাদাতকে উদ্ধার করে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এবং করে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হয় চিকিৎসার জন্য। অন্যদিকে এই ঘটনার পর দুবরাজপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আহত শাহাদাতের মাসি মারুফা বিবির দাবি করেছেন, “সেখ সুকুর সব সময় মদ খেয়ে থাকত। ও চাইত নূরেফার ছেলেকে মেরে দিতে। সেই জন্য এই আক্রমণ। আমরা শুকুরের এমন শাস্তি চাই যেন সে কোনদিন জেল থেকে বের হতে না পারে।” ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।