নিজস্ব প্রতিবেদন : মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের অরিজিৎ সিং তার গানের দৌলতে বিশ্ব সেরা। তবে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক হয়েও অহংকার কি জিনিস বা তারকা সুলভ আচরণ কি তা দেখা যায় না তার মধ্যে। এই অরিজিৎকেই দেখা যায় সাধারণ মানুষের মতো এলাকায় ঘুরে বেড়াতে। আবার প্রতিবেশীদের দেখে মুচকি হাসতে।
অরিজিৎ সিং এতটাই সাদামাটা ভাবে জীবনযাপন করেন যে অধিকাংশ মানুষ তাকে মাটির ছেলে বলেই অভিহিত করে থাকেন। সম্প্রতি এই সাদামাটা ছেলেটি নিজের এলাকার ছেলেমেয়েদের বিনামূল্যে ইংরেজি কোচিং দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করছেন। জীবনের উন্নতির শিখরে উঠেও মনের দিক থেকে এখনো সেই আগের মতই রয়ে গেছেন অরিজিৎ তা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই।
এই অরিজিৎ সিংকে যে টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয় তা তিনি একটি লাইভ কনসার্টে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তার দর্শকদের। তিনি তা বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এক দর্শককে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দারুণ শিক্ষাও দিয়েছিলেন। আসলে তিনি যখন ওই মঞ্চে গান গাইছেন সেই সময় দর্শকাসন থেকে তাকে লক্ষ্য করে উড়ে আসে টাকা। যেমন বিভিন্ন জলসা অথবা গানের অনুষ্ঠানে বহু দর্শককে গায়ককে উদ্দেশ্য করে টাকা ছুঁড়তে দেখা যায়, ঠিক তেমনটাই ঘটে অরিজিতের ক্ষেত্রেও।
এমন ঘটনা বেশ কয়েক বছর পুরাতন হলেও ওই দিন মঞ্চে অরিজিৎ গান গায়ছিলেন রং দে তু মোহে গেরুয়া। সেই সময়ই ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট তার দিকে ছোঁড়া হয়। যদিও অরিজিৎ টাকা এবং যিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন দুজনেরই অসম্মান না করে একটি বাক্যে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাকে টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়।
এই ঘটনা ঘটার সময় অরিজিৎ সিং আচমকা গান থামান। অন্য কেউ থাকলে হয়তো দেখে মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে পারতেন। কিন্তু অরিজিৎ পরিস্থিতি সামলে নেন এবং মঞ্চের উপর নিচু হয়ে বসে পড়েন। এরপর যে টাকা তার দিকে উড়ে এসেছিল সেই টাকাগুলি তিনি কুড়িয়ে যারা সেই টাকা ছুড়েছিলেন তাদের হাতে তুলে দেন। টাকা তুলে দেওয়ার সময় অরিজিৎ সিং বলেছিলেন, ‘এভাবে কখনও পয়সা নষ্ট কোরো না…’। তার এই কথা শুনে হাততালিতে ভরে ওঠে দর্শকাসন।