Howrah Station: জলের জোগান ব্যবস্থা নিয়ে বেশ অনেক দিন ধরেই সমস্যা পোহাতে হচ্ছিল যাত্রীদের। এবার হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station)যাত্রী ও আসে পাশের মানুষদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে জলের ঘাটতি কমানোর জন্য দারুণ ব্যবস্থা নিয়ে এলো রেল দপ্তর।
রেল সূত্রে খবর সারা দিন রাত ধরে জল সরবরাহের জন্য স্টেশন এলাকার ২৭টি পাম্পকে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আলাদা করা হয়েছে। হাওড়া স্টেশনের পুরনো এবং নতুন কমপ্লেক্স ছাড়াও টিকিয়াপাড়া কোচিং কমপ্লেক্স, সর্টিং ইয়ার্ড এবং কোচ ওয়াশিং প্লান্ট এই সমস্ত জায়গায় এই জল সরবরাহ মেশিন চালু করা হবে।
আরো পড়ুন: বাংলায় রয়েছে পূর্ব ভারতের সবথেকে বড় নামের রেলস্টেশন, জানেন কোথায় এটি
এই প্রযুক্তির মূল উদ্যোক্তা হলেন হাওড়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সঞ্জীব কুমার। তার উৎসাহেই হাওড়া স্টেশন (Howrah Station) চত্বরে ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে এই জল সরবরাহের ব্যবস্থা যে প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়। অর্থাৎ মেশিনের কাছে থাকবেনা কোনো কর্মী। দূর নিয়ন্ত্রিত স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা হওয়ায় ভুল ত্রুটির আশঙ্কা অনেকেই কম হবে বলে আশ্বাস দেন হাওড়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সঞ্জীব কুমার।
আরো পড়ুন: মেট্রোর তরফ থেকে দেওয়া হল বড় আপডেট, আদৌ কি চালু হবে হাওড়া-সল্টলেক মেট্রো
এই ব্যবস্থায় যেমন জলের জোগানের ঘাটতি কমবে তেমনি কম হবে জলের অপচয়। স্বয়ংক্রিয় হওয়ায় সাধারণ মানুষের দ্বারা অপচয়ের ঝুঁকি অনেকটাই কম। এছাড়াও এতগুলো পাম্প চালাতে গেলে যে পরিমাণ মজুর বা কর্মীর প্রয়োজন তা রাখার প্রয়োজন পড়বে না। হাওড়া স্টেশন চত্বরে নানাবিধকাজের জন্য জল সরবরাহ ব্যবস্থাকে সেন্সর-নির্ভর স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির দ্বারা উন্নত করার চেষ্টা রেলের।
এই ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় হওয়ায় ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ দিনরাত জল সরবরাহ করা হবে। সয়ংক্রিয় ব্যবস্থা হওয়ায় তা হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁধা সৃষ্টি করবে না। এলাকার মানুষজন ও যাত্রী সাধারণ সকলের কথা ও সুবিধার ব্যাপার মাথায় রেখেই এই পুরো প্রযুক্তিকে নির্মাণ করা হবে। এই প্রযুক্তি সার্বিকব্যবস্থাপনায় গন্ডগোল, শর্ট সার্কিট, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পরিবহণের ফলে তৈরি হওয়া সমস্যা, সিঙ্গল ফেজ়িং, জল ছাড়াই পাম্প চলতেশুরু করা ছাড়াও আরও অনেক সমস্যার সমাধান দূর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে করা হবে।