নিজস্ব প্রতিবেদন : কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই এই ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ডে এক ভুয়ো আইএএস অফিসার সহ তিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এই সকল বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে এই ভুয়ো ভ্যাকসিনের জের ছোটখাটো নয়, রাজ্যজুড়ে এর বিস্তার রয়েছে।
একটি ভ্যাকসিনের আকাল মুহূর্তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে মিলছে ভ্যাকসিন। আর এই মতো পরিস্থিতিতে যদি আবার ওই ভ্যাকসিন নকল হয় তাহলে পরিস্থিতি কী ভয়ঙ্কর তাতো বুঝতেই পারছেন। সম্প্রতি এই ঘটনা সামনে আসার পর অনেকের মনেই সংশয় জাগছে, তারা যে ভ্যাকসিন নিয়েছেন সেটি আসল তো!
এপ্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনার ভ্যাকসিন আসল না নকল তা বোঝা সম্ভব নয় সাধারণ মানুষদের পক্ষে। তবে সাম্প্রতিক কালের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাকসিনের পরিচয় নিয়ে যেহেতু আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কতকগুলি পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে ভ্যাকসিন আসল না নকল তা জানার জন্য।
১) ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে আপনি যে সেন্টারে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন সেখানে আপনার নামে একটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়। রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনার কাছে নেওয়া হবে একটি মোবাইল নম্বর। রেজিস্ট্রেশন হওয়া এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ওই রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস আসবে। সেই এসএমএসটি যদি সরকারি ভাবে আসে অর্থাৎ সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে আপনি ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন এবং নিয়েছেন তাহলে জানবেন আপনি ভুয়ো ভ্যাকসিন সেন্টারে আসেন নি।
২) ভ্যাকসিন নেওয়ার দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর চাইলে আপনি আপনার শরীরে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করাতে পারেন। তাতে শরীরের সত্যিকারের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা তা জানা যাবে। পাশাপাশি ভুয়ো ভ্যাকসিনের পাল্লায় পড়েছেন কিনা তাও জানা যাবে।
৩) কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন সেন্টারে যে ভাওয়াল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল সেই ভাওয়েল কোভিশিল্ডের ভাওয়েলের তুলনায় অনেক ছোট। যদিও এই বিষয়টি সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে সব সময় সরকারি ভ্যাকসিন সেন্টার অথবা সরকার প্রদত্ত বেসরকারি ভ্যাকসিন সেন্টারেই ভ্যাকসিন নিতে হবে। তাহলে এইরকম ভুয়ো ভ্যাকসিনের পাল্লায় পরতে হবে না।
সম্প্রতি এই ঘটনার জেরে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা টিকাকরণের ক্ষেত্রে অনলাইন পোর্টাল এবং কোভিড ভ্যাকসিন সংক্রান্ত অ্যাপ ছাড়া কোনওভাবেই যেন ভ্যাকসিন দেওয়া অথবা নেওয়া না হয়।