নিজস্ব প্রতিবেদন : ঝড়, বৃষ্টি, ভূমিকম্প যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেন রাম মন্দিরে আঁচড় ফেলতে না পারে তার জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের তরফ থেকে। মন্দিরের দীর্ঘায়ু সুনিশ্চিত করতে সাজ সাজ রব অযোধ্যায়। মন্দিরকে অন্তত হাজার বছর আয়ু দিতে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা করা হয়েছে শুধু পাথর দিয়ে তৈরি করা হবে মন্দির। আর একটি পাথরের সাথে অন্য একটি পাথরকে জুড়তে ব্যবহার করা হবে সিমেন্ট এবং তামার পাত ও রড। মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে লোহার ব্যবহার নামমাত্র থাকবে না বলে জানা গিয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয় মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে রয়েছে আরও অজস্র খুঁটিনাটি। আর সেই সকল খুঁটিনাটির বিষয়ে বৃহস্পতিবার শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে টুইট করে সবকিছু জানানো হয়।
১) প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে ভূমিকম্পে যাতে মন্দিরের ভিত কেঁপে না যায় তার জন্য মাটি পরীক্ষায় উপস্থিত থাকবেন আইআইটি-চেন্নাইয়ের গবেষকরা। এছাড়াও রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞেরাও উপস্থিত থাকবেন।
২) শিলান্যাসের তিন থেকে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই নির্মাণকারী সংস্থা লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো মাটি সমান করার কাজ সেরে ফেলেছে। এখন তারা মন্দির নির্মাণের কাজে হাত লাগাবে।
৩) মন্দির নির্মাণের সময় মন্দিরের কংক্রিটের ভিত ১৫০ থেকে ২০০ ফুট নিচ থেকে তোলা হবে।
For Mandir construction, copper plates will be used to fuse stone blocks with each other. The plates should be 18 inches long, 30 mm wide & 3 mm in depth.10,000 such plates may be required in total structure. We call upon Shri Rambhakts to donate such copper plates to the trust.
— Shri Ram Janmbhoomi Teerth Kshetra (@ShriRamTeerth) August 20, 2020
৪) ঝড়-বৃষ্টি, ভূমিকম্প ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয় সামলে মন্দির যাতে হাজার হাজার বছর মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে তার জন্য প্রথম থেকেই নাগারা শৈলী মেনে মন্দির তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
৫) মন্দির নির্মাণের জন্য যে তামার পাত ব্যবহার করা হবে ১৮ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, ৩০ মিলিমিটার প্রস্থ, ৩ মিলিমিটার উচ্চতার।