শ্যামলি দাস: কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য চালু করা হয় আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প (Ayushman Bharat)। ২০১৮ সালে এই প্রকল্প চালু হলেও এখনো পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে তা চালু হয়নি। মূলত রাজ্য সরকারগুলির অনিচ্ছার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার এই প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে চালু হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে কেন্দ্রের নয়া পদক্ষেপ। আর এই নয়া পদক্ষেপে রাজ্যকে ফাঁদে ফেলে দেওয়ার মতোই অবস্থা।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারতের মতোই স্বাস্থ্যসাথী নামে একটি প্রকল্প রয়েছে। যে প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা স্বাস্থ্য বীমা হিসাবে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন। তবে এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। যেমন পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া দেশের অন্য কোন জায়গায় সুবিধা পাওয়া যায় না বললেই চলে। এছাড়াও আরও একাধিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা ভারতবর্ষের যে কোন রাজ্যেই পাওয়া যায়। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রকল্প রাজ্যে চালু না করলেও একসময় এই প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এবার আরও এক জল্পনা তৈরি হয়েছে মূলত আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করা নিয়ে কেন্দ্রের হুঁশিয়ারির পরিপ্রেক্ষিতে। তবে যদি রাজ্যে এই প্রকল্প চালু হয় তাহলে রাজ্যের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
সম্প্রতি রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করা নিয়ে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন। রবিবার কল্যাণী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে দিনভর বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের ইউজিএমবি সভাপতি ডাক্তার অরুনা ভানিকা। আর তিনি রাজ্যে এসে কার্যত সতর্ক করে বলে যান, আয়ুষ্মান ভারত আইডি কার্ড ছাড়া চিকিৎসা করালে কোনভাবেই তা রাজ্য করবে না কেন্দ্র সরকার।
এক্ষেত্রে ধরা যাক কোন সরকারি মেডিকেল কলেজ অথবা হাসপাতালে বছরে ১০ হাজার রোগী আউটডোর-ইন্ডোরে চিকিৎসা করালেও কেন্দ্র সরকার যখন তা মূল্যায়ন করবে তখন কোন নম্বরই দেবে না যদি আয়ুষ্মান ভারত আইডি কার্ডের ব্যবহার না হয়। এর ফলে কেন্দ্রীয় অনুদান পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। একাধিকারিক এমন ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং সেই ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও সব রাজ্যের চালু করার বিষয়ে পাল্টা চাপ দিয়ে কেন্দ্র সরকার নয়া পরিকল্পনা গ্রহণ করছে বলেই জানা যাচ্ছে।