Babita lost her job in Abhijit Ganguly’s judgment: অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমের জোরেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। যার পুরো কৃতিত্ব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এর। এমনকি এতদিন ধরে অঙ্কিতা চাকরি করে যে টাকা পেয়েছিল, তাও ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
কিন্তু এবার ফের সেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চাকরি হারালেন ববিতা (Babita Sarkar)। সেই চাকরি এবার পাবেন মামলাকারী অনামিকা রায়। তাহলে এবার ‘অঙ্কিতার চাকরি বাতিলের টাকার’ কী হবে? সেই বিষয়টিও কিন্তু আদালত এবার স্পষ্ট করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে যে, ববিতা সরকারের কাছে যে ১৫ লাখ জমা আছে এবার ফেরত দিতে হবে।
সেই ১৫ লাখ টাকা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট আগামী ১৯ মে’র মধ্যে। সেক্ষেত্রে ববিতা (Babita Sarkar) আদালতের কাছে আবেদন করেন কিছুটা সময় দেওয়ার জন্য। আদালতকে ববিতা জানান, ওই ১৫ লাখ টাকার মধ্যে ১১ লাখ টাকা এখনই তিনি জমা দিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু বাকি ৪ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাকে কিছুটা সময় দিতে হবে।
তিনি আদালতের কাছে তিন মাস সময় চেয়ে নেন। সেক্ষেত্রে আদালত ববিতাকে নির্দেশ দিয়েছে যে, বাকি টাকা তাকে অবশ্যই আগামী ৫ জুনের মধ্যে জমা দিতে হবে। তবে ববিতা নিজের চাকরির সময়ে যে বেতন পেয়েছেন, সেই কয়েকমাসের বেতনের টাকা ববিতাকে ফেরত দিতে হবে না বলেও জানিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল করে সেই চাকরি দাবিদার ববিতা সরকারকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা আদালত। কিন্তু এরপর আবার সেই চাকরির নতুন দাবিদার উঠে আসেন। সে হচ্ছে শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। তাঁর দাবি হলো, ওই চাকরির জন্য আসলে তিনিই যোগ্য ছিলেন। এমনকি সেই নিয়ে আদালতে মামলাও করেন অনামিকা। মামলায় ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর কম ছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছিল, সেই অভিযোগেই অবশেষে এদিন সিলমোহর দেয় আদালত। সব দিক থেকে বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার ববিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।