নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার পর বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) জায়গা করে নিয়েছেন মমতার মন্ত্রিসভায়। মন্ত্রিসভায় আসার পর দপ্তরে রদবদল হলেও সে নিয়ে কোন আক্ষেপ নেই বাবুল সুপ্রিয়র বলেও জানিয়েছেন। তবে এসবের মধ্যেও রাজ্যের আরেক গায়ক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে ঝামেলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিন দিন জল্পনা বাড়ছে জনপ্রিয় এই গায়ক মন্ত্রীকে নিয়ে। এবার আরও এক জল্পনা তৈরি হলো মমতার বিজয়া সম্মেলনীকে ঘিরে।
সোমবার নিজের নির্বাচন কেন্দ্র ভবানীপুরে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। এই অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কলকাতার অধিকাংশ নেতা মন্ত্রীদের ভিড় দেখা যায়। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বালিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তার এমন অনুপস্থিতিকে ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
কেননা গত বছর একই ধরনের অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আবার বালিগঞ্জ দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত। এই লোকসভা কেন্দ্র থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাংসদ হয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠছে যেখানে দক্ষিণ কলকাতার অধিকাংশ নেতাকর্মী এবং মন্ত্রীরা মমতার এই বিজয়া সম্মেলনীে উপস্থিত ছিলেন সেখানে কেন বালিগঞ্জের বিধায়ক থাকলেন না? গত বছর উপস্থিত থাকলেও এই বছর কেন তার এমন অনুপস্থিতি?
রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি কৌতুহলী মানুষদের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে নানান প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। বিশেষ করে গত কয়েক মাস ধরে রাজ্য মন্ত্রিসভায় একাধিক রদবদল থেকে শুরু করে বাবুলের সঙ্গে অন্য মন্ত্রীর ঝামেলা ইত্যাদি নিয়ে আরও কৌতুহল বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এক বছরের মধ্যেই তাল কাটতে শুরু করেছে একসময়ের বিজেপি সাংসদ তথা বর্তমান তৃণমূল বিধায়কের?
যদিও বাবুল সুপ্রিয় এই বিষয়ে একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওসব কিছু না। বাবুল সুপ্রিয়র বক্তব্য অনুযায়ী, এই বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান ভবানীপুর কেন্দ্রীক, গোটা দক্ষিণ কলকাতার নয়। পাশাপাশি তার দাবি, গত বছর তাকে ডাকা হয়েছিল বলেই তিনি গিয়েছিলেন। তবে বাবুল সুপ্রিয় এমন দাবি অনুযায়ী পুরো দক্ষিণ কলকাতার অনুষ্ঠান এই বিজয়া সম্মেলনী না হলেও সেখানে কিন্তু উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতারই অধিকাংশ নেতাকর্মী এবং বিধায়ক ও মন্ত্রীরা।