Bagdogra Gangtok Helicopter Service : যেকোনো ছুটিতে বাঙালির মন ঘরে টিকে থাকতে চায়না, এই কারণেই তারা ভ্রমণপ্রিয় জাতি। পুজোর ছুটি হোক কিংবা শীতের ছুটি পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে সময় না কাটালে যেন ছুটিটাই বৃথা মনে হয়। এই শীতের মরশুমে যদি শীত উপভোগ করতে চান তাহলে উত্তরবঙ্গের মতো ভালো জায়গা আর হতে পারে না। তবে যেসব পর্যটকরা উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন তাদের জন্য আছে দুর্দান্ত খবর। সমতল থেকে পাহাড়ে চলে যাওয়া এখন অনেক সহজ। নিশ্চয়ই ভাবছেন কি করে? পর্যটকদের জন্য চালু হয়েছে হেলিকপ্টার সার্ভিস, যাতে কষ্ট লাঘব হয়েছে অনেকটাই।
বাগডোর থেকে গ্যাংটক (Bagdogra Gangtok Helicopter Service) পর্যন্ত যে নতুন হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হয়েছে তা পর্যটকদের হেলিকপ্টার চড়ার শখ পূরণ করবে। এই নতুন হেলিকপ্টারে থাকবে ২৭টি আসন। যার মধ্যে ২৫টি সাধারণ যাত্রীদের জন্য এবং ২টি ভিআইপি যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ। এই নয়া হেলিকপ্টার পরিষেবা শুরু করা হয়েছে পুজোর আগে থেকেই। সম্প্রতি সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস তামাং এই পরিষেবার কথা ঘোষণা করে জানিয়েছেন। তাই সাধ্যের মধ্যে শখপূরণ করতে চাইলে একবার আসতেই হবে উত্তরবঙ্গে।
সাধারণত যেসব পর্যটকরা গ্যাংটক এ যান তারা শিলিগুড়ি থেকে প্রধান রাস্তা ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ব্যবহার করে থাকেন। যে কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ককে শিলিগুড়ি ও সিকিমের লাইফলাইনও বলা হয়। কিন্তু পাহাড়ে ধস নামার কথা নতুন কিছু নয়, খবরের কাগজের পাতা উল্টালেই এরকম খবর হামেশাই চোখে পড়ে। ধসের কারণে জাতীয় সড়ক মাঝেমাঝেই বন্ধ হয়ে থাকে যার ফলে যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে। ধসের কারণে অনেক সময় পর্যটকরা ট্রেন বা বিমান কিছুই ধরতে পারে না। তাই পাহাড়ের পর্যটকদের জন্য এই নতুন হেলিকপ্টার পরিষেবা (Bagdogra Gangtok Helicopter Service) একাধিক সমস্যার সমাধান ঘটাবে।
আরও পড়ুন:Dooars Airport: ডুয়ার্স এয়ারলাইন্স, প্লেনে চড়ার স্বপ্ন পূরণের মঞ্চে ডুয়ার্স, পর্যটনে নতুন দিগন্ত
বাগডোর-গ্যাংটক রুটে (Bagdogra Gangtok Helicopter Service) নয়া হেলিকপ্টার পরিষেবা শুরু হবার ফলে মাত্র ৩৫ মিনিট সময় লাগবে বাগডোগরা থেকে গ্যাংটক পৌঁছানোর জন্য। হেলিকপ্টারটি ছাড়া হবে গ্যাংটকের বুরতুক হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে। এখানে যাত্রী এবং লাগেজের ওজন করা হবে। যাত্রী পিছু ১০ কেজি ওজনের বেশি লাগেজ নেওয়া যাবে না এবং নিতে গেলে দিতে হবে অতিরিক্ত চার্জ। এর টিকিট কাউন্টার খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে নিজের পরিচয়পত্র অবশ্যই সাথে রাখতে হবে। গ্যাংটক থেকে বাগডোগরা যেতে খরচ হবে মাথাপিছু ৪৫০০টাকা। যদি কোন পর্যটক গ্যাংটক এ জয় রাইড করতে চায় অর্থাৎ গ্যাংটকের বিভিন্ন জায়গা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ঘুরে দেখতে চায় তাহলে দিতে হবে ৩০০০ টাকা। এর জন্য সময় লাগবে কুড়ি মিনিট।
এত কাছে এই সুযোগ আশা করি হাতছাড়া করতে চাইবে না কোন পর্যটক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, অনেক আগে থেকেই বাগডোর টু সিকিম রুটে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু এই রুটের হেলিকপ্টারগুলোতে আসন সংখ্যা ছিল খুবই কম। তাই যাত্রীরা সেভাবে যাতায়াত করতে পারত না। সে কারণে এবার তা বাড়িয়ে ২৭টি করা হলো। আশা করা হচ্ছে এতে উত্তরবঙ্গ সফরে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পে এর প্রভাব অত্যন্ত ইতিবাচকভাবেই পড়তে চলেছে।