Bagdogra gangtok helicopter service will start before Puja: দুর্গা পুজো বাকি আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দিন। এর মধ্যে অনেকের শপিং শেষ। অনেকে আবার প্যান্ডেল হপিংয়ের প্ল্যানও সেরে ফেলেছেন। আবার কিছুজন পুজোর ছুটিতে দার্জিলিং কিংবা সিকম যাবে বলে পরিকল্পনা করেছেন। পুজোর ছুটিতে প্রতি বছরই দার্জিলিং কিংবা গ্যাংটকে প্রচুর পরিমানে ভিড় জমায় পর্যটকরা। এবারও যারা উত্তরবঙ্গে কিংবা সিকিমে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। পর্যটকদের জন্য শুরু হবে হেলিকপ্টার পরিষেবা (Bagdogra gangtok helicopter service)। চলুন প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত জেনে নিন।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বাগডোর থেকে গ্যাংটক (Bagdogra gangtok helicopter service) পর্যন্ত নতুন ভাবে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করা হবে। এই নতুন হেলিকপ্টারে থাকবে ২৭টি আসন। যার মধ্যে ২৫টি সাধারণ যাত্রীদের জন্য এবং ২টি ভিআইপি যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ। পুজোর আগেই এই নয়া হেলিকপ্টার পরিষেবা শুরু করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস তামাং এই পরিষেবার কথা ঘোষণা করে জানিয়েছেন। দুর্গা পুজোর আগেই সিকিমে এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
শিলিগুড়ি থেকে সিকিম পৌঁছাতে প্রধান রাস্তা ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যে কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ককে শিলিগুড়ি ও সিকিমের লাইফলাইনও বলা হয়। তবে পাহাড়ে ঘেরা এই অঞ্চলে মাঝে মধ্যেই ধস নামে। আর এই ধসের কারণে মাঝে মাঝেই ভেঙে পড়ে জাতীয় সড়ক। ফলে যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে। ধসের কারণে অনেক সময় পর্যটকরা ট্রেন বা বিমান কিছুই ধরতে পারে না। সমস্যায় পরেই পাহাড়ী পর্যটকরা। তবে এবার নতুন হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হবে পর্যটকদের এই সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে।
বাগডোর-গ্যাংটক রুটে (Bagdogra gangtok helicopter service) নয়া হেলিকপ্টার পরিষেবা শুরু হলে বাগডোর থেকে গ্যাংটক পৌঁছাতে পর্যটকদের সময় লাগবে মাত্র ৩৫ মিনিট। তবে ভাড়া কত নেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি। ভাড়ার বিষয়ে সিকিমের পর্যটন দফতর জানিয়েছে, হেলিকপ্টারের ভাড়া নিয়ে হেলিকপ্টার সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সিন্ধান্ত চূড়ান্ত হলেই টা জানিয়ে দেয় হবে। সিকিমের পর্যটন দফতর সূত্রে এও জানা গিয়েছে যে, হেলিকপ্টারের ভাড়া আগের মতোই থাকবে, টাকার পরিমাণ বাড়লেও তা অল্প বাড়ানো হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনেক আগে থেকেই বাগডোর টু সিকিম রুটে হেলিকপ্টার পরিষেবা (Bagdogra gangtok helicopter service) চালু করা হয়েছিল। তবে এতো দিন এই রুটের হেলিকপ্টার গুলি ৫টি আসন বিশিষ্ট ছিল। কম আসন থাকায় যাত্রীদের অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হতো। সে কারণে এবার তা বাড়িয়ে ২৭টি করা হলো। আগে এই রুটে হেলিকপ্টারের ভাড়া নেওয়া হতো ৩৫০০ টাকা। জানিয়ে রাখি, নয়া হেলিকপ্টার পরিষেবার ফলে পর্যটকদের ভিড় আরো বাড়বে। ফলে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প আরো উন্নতি ঘটবে।