নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের তরফ থেকে সোমবার ‘বঙ্গভূষণ’, ‘বঙ্গবিভূষণ’ এবং ‘মহানায়ক’ পুরস্কার দেওয়া হয় সংস্কৃতি জগতের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। ২০১৮ সালে শেষবার এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ তিন বছর পর পুনরায় এই পুরস্কার দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নজরুল মঞ্চের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে আগ্রহের কমতি ছিল না।
নজরুল মঞ্চের এই অনুষ্ঠানে এই বছর নুসরত জাহানের ঝুলিতে এলো নতুন পালক। মহানায়কের তালিকায় নুসরতের নাম জড়ানোর পাশাপাশি একইভাবে পুরস্কার পেয়েছেন সোহম চক্রবর্তী। এছাড়াও এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সংস্কৃতি জগতের বিভিন্ন তারকাদের হাতে উঠল নানান পুরস্কার।
বঙ্গভূষণ পুরস্কার পেলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দেব, পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সঙ্গীতশিল্পী কৌশিকি চক্রবর্তী, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তী, অভিনেত্রী জুন মালিয়া, সাহিত্যিক শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা, চিকিৎসা বিভাগ থেকে ডা. মনোময় বন্দ্যোপাধ্যায়, ডা. যোগীরাজ রায় প্রমুখরা।
বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান এই তিনটি ক্লাব। এছাড়া এই পুরস্কার পেয়েছেন গায়ক কুমার শানু, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, নাট্যব্যক্তিত্ব দেবশংকর হালদার, জাস্টিস জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য, শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়ার। এর পাশাপাশি এই তালিকা দীর্ঘ। যেখানে রয়েছে আরও কয়েকজনের নাম।
অন্যদিকে এই বঙ্গবিভূষণ সম্মানের তালিকায় নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের নাম থাকলেও তিনি সেই পুরস্কার নেননি। যদিও তিনি কি কারণে এই সম্মান নেননি তা জানা যায়নি বা তাদের পরিবার অথবা তার তরফ থেকে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, দুর্নীতির অভিযোগে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসা এবং তাকে গ্রেফতার করার পরিপ্রেক্ষিতে সমাজের সর্বস্তরে বইছে নিন্দার ঝড়। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রত্যেকের প্রত্যাখ্যান করা উচিত। সুজন চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে এই সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়। তার এই সিদ্ধান্ত অর্থবহ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।