হিরো আলমের আসল নাম আশরাফুল আলম সাঈদ। তিনি একজন বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী, অভিনেতা, গায়ক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সব চেয়ে বেশি আলোচিত বা বলা ভালো সমালোচিত ব্যক্তি। তিনি মূলত তার বেসুরো গলায় গানের জন্য সর্বাধিক আলোচিত, সমালোচিত। এই কারণে তিনি বিভিন্ন ইন্টারনেট মিমের উপাদানে পরিণত হয়েছেন বারবার। হিরো আলম শখের বশে সঙ্গীত ভিডিও নির্মাণ শুরু করেন। সেগুলি ইউটিউবে আপলোড করার সাথে সাথে সেই ভিডিও নিয়ে রীতিমত ট্রোল এবং মিম তৈরি করা হয়। আর এই ট্রোল এবং মিমের মাধ্যমেই দ্রুত তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন।
শোনা গিয়েছে হিরো আলম এবার ভোটে দাঁড়াচ্ছেন। দিন কয়েক আগেই পদত্যাগ করেন বিএনপি দলের সদস্যরা। আর সেই সমস্ত শূন্য আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে। এরই সাথে ভোট গ্রহণ করা হবে বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ আসনেও। বগুড়া-৪ আসন থেকে ভোটে লড়াই করতে চাইছেন হিরো। জানা গিয়েছে, তিনি ওই আসনের পদপ্রার্থী হবার জন্য ‘ফর্ম’ আনতে যান গত বৃহস্পতিবার দুপুরে। কিন্তু জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে পৌঁছালে হিরো আলমকে ফর্ম দেওয়া হয়নি। জাতীয় পার্টির কার্যালয় থেকে ফাঁকা হাতেই ফিরে আসতে হয়েছে তাকে।
আর তাই এবার ভোটে লড়ার জেদ চাপে হিরো আলমের মনে। পদপ্রার্থী হতে গিয়েই জাতীয় পার্টির কাছে প্রত্যাখাত হয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তাই এবার তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, নির্দল প্রার্থী হিসাবেই লড়াই করবেন তিনি। হিরো আলম এক পরিচিত মুখ। যদিও একাধিক সময়েই বিতর্ক জড়িয়েছে তাঁর সঙ্গে। তবুও মানুষ তাকে পছন্দ করেন। কারণ ভিন্ন সামাজিক কাজ কর্মের সাথে যুক্ত আছেন তিনি।
এই বিষয়ে জাতীয় পার্টির সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক খান বলেন, দলীয় মনোনয়ন ফর্ম শুধুমাত্র দলের নেতাকর্মীকে দেওয়া হবে। তারপরে দলের উপযুক্ত ব্যক্তিকে মনোনয়নপত্র দেওয়া হবে। যেহেতু হিরো আলম দলের কেউ নয়, তাই তাঁকে ওই ফর্ম দেওয়া হয়নি। এদিকে হিরো আলম ঘোষণা করে দিয়েছেন, ওই আসনেই নির্দল হিসাবে লড়াই করে জিতে দেখবেন তিনি। হিরো আলম ২০১৮ সালেও বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন একবার। তিনি বলেন, তিনি আগে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। সেইবারও তিনি জাতীয় পার্টির হয়েই লড়াই করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেবারও তাকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। যদিও নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করে সেবার হেরে গিয়েছিলেন হিরো আলম।
হিরো আলমের দাবি, তিনি জাতীয় পার্টির নেতাদের ফোন করে তার পরই সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরে তাঁকে দলের সদস্যরা ফর্ম দিতে চাননি। তিনি আরো দাবি করেন, পার্টির তরফ থেকে তাঁকে বিভিন্ন রকম কারণ দেখানো হয়েছে। একবার বলা হয়েছে, তিনি জাতীয় পার্টির সদস্য নন তাই ওই ফর্ম দেওয়া হবে না। আবার বলা হয় ফর্ম দেওয়ার সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। আলাদা আলাদা বক্তব্য শুনে খালি হাতে ফিরেও ভোটে জেতার জন্য আশাবাদী হিরো আলম।