Bangladesh India Conflict: বাংলাদেশের চলছে অরাজকতা। জায়গায় জায়গায় খুব দাঙ্গা-হাঙ্গামায় রক্ত বন্যাও বয়ে যাচ্ছে। অত্যাচারিত হচ্ছে হিন্দু সমাজ। এমনকি ঘর থেকে টেনে এনেও হিন্দুদের ওপর চরম অত্যাচার করা হচ্ছে। দেশ ভাগ হওয়ার পর বাংলাদেশে মুসলিমদের সংখ্যা বেশি এবং ভারতে (Bangladesh India Conflict) হিন্দুদের সংখ্যা বেশি। এর ফলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিসেবে হিন্দুদেরকেই ধরা হয়। আর এই সংখ্যালঘুদের ওপরেই চলছে চরম অত্যাচার। তবে কি এর পেছনে পাকিস্তানেরও হাত আছে? প্রশ্ন আপামর জনগণের।
ভারত ও বাংলাদেশের (Bangladesh India Conflict) মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশি সেনা সদস্যদের ভারত বিরোধী বক্তব্যের বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলিতে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা এবং প্রচারিত ভিডিওগুলিতে, প্রাক্তন বাংলাদেশী সেনা কর্মীদের ভারত বিরোধী উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিতে শোনা যায়, দাবি করে যে কীভাবে পশ্চিমবঙ্গ, আসামের “চার দিনের মধ্যে” কলকাতা দখল করা যায়।
বাংলাদেশী চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলো হুমকি দিয়েছে যে তারা চার দিনের মধ্যে কলকাতা দখল করতে পারবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও আক্রমণ করার ক্ষমতা রাখে। এই দাবিগুলি ভারতীয় প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের এবং বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, যারা ভারতের বাহিনীর নিরাপত্তা এবং প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেছে। প্রাক্তন ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড প্রধান দীপাঞ্জন চক্রবর্তী সরাসরি হুমকিকে সম্বোধন করে বলেছিলেন যে, তারা যদি ভারতমাতার বুকে এক পাও ফেলে তাহলে তাদের ভারতের মাটিতেই সমাহিত করে গোলাপ দিয়ে দেবে তারা। তিনি ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং সীমান্তে যেকোনও অনুপ্রবেশের চেষ্টা সামাল দেওয়ার সক্ষমতার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন:Bangladesh vs Indian Army: কলকাতা দখল করবে বাংলাদেশ, ভারতীয় সেনাকে আদৌ কি টক্কর দিতে পারবে
তথ্যানুযায়ী, ০.১০২৩ হল ভারতবর্ষের পাওয়ার ইনডেক্স। অপরদিকে, বাংলাদেশের পাওয়ার ইনডেক্স হলো ০.৫৪১৯। ০.০৬৯৯ হলো মার্কিনদের পাওয়ার ইনডেক্স। চিনের ০.০৭০২ এবং রাশিয়ার ০.০৭০৬। সব হিসেব করে দেখা যায় যে, সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক শক্তি রয়েছে আমেরিকার হাতে। আর যদি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তুলনা করা হয় তবে বাংলাদেশের তুলনায় ভারতের (Bangladesh India Conflict) সামরিক বাহিনী বেশি শক্তিশালী। তাই বাংলাদেশের মৌলবাদীরা যখন হুমকি দিয়েছেন যে তারা মাত্র চার দিনেই হাতের মুঠোয় আনবেন কলকাতাকে। তখন তা হাস্যকর মনে হয়েছে ভারতের কাছে।
প্রাক্তন এনএসজি কর্তা দীপাঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন যে, যেসমস্ত বৃদ্ধ মৌলবাদীরা এই দুঃসাহসিক মন্তব্য করেছেন তাদের প্রত্যেকেরই পেসমেকার বসানো। আর সেই পেসমেকার কলকাতা থেকেই তৈরি হয়েছে। তাই প্রথমেই তাদেরকে পেসমেকার খুলে কলকাতাকে ফেরত দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া আফগানিস্তানে ওসামা বিন লাদেনের আশ্রয় থেকে ৯/১১- টুইন টাওয়ার ধ্বংস এসবের কথাও মনে করান।