নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত ও বাংলাদেশের (Bangladesh) সুসম্পর্ক এখন যেন ইলিশে আটকে গিয়েছে। কেননা এপার বাংলার মানুষেরা আর যাই হোক পুজোর সময় বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ পেতে মুখিয়ে থাকেন। তবে এই বছর হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তকালীন সরকার স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে, ভারতকে তারা ইলিশ দিতে পারবে না। ইলিশ দিতে পারবে না অথচ ডিম আমদানি করেই যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা যে জায়গায় পৌঁছে যায় সেই তুলনায় যোগান নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশে এক একটি ডিমের দাম ১৫ থেকে ১৬ টাকায় পৌঁছে যায়। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে যেতে শুরু করলে ভারত থেকে ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৮৪০ টি ডিম তারা আমদানি করে। যার পরেই দাম কমতে দেখা যায়।
এদিকে গত কয়েক বছর ধরে হাসিনা সরকার ভারতকে দুর্গাপুজোর সময় টন টন ইলিশ পাঠালেও এই বছর কিন্তু পাঠাবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে। আবার যখন ইলিশ পাঠাবে না বলে জানিয়েছে সেই সময় আবার ৪৭ লক্ষ ডিম ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করবে। স্বাভাবিকভাবেই ইলিশ রাজনীতি বাংলাদেশ চালালেও কিন্তু ভারত ডিম নিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন : WB Notification: পুজোর আগেই রাজ্য সরকারের এক বিজ্ঞপ্তি চিন্তা দূর করল বহু সরকারি কর্মচারীদের
বাংলাদেশকে এমন বিপুল পরিমাণে ডিম সরবরাহ বা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি হলো শ্রীলক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ। ভারতের তরফ থেকে বাংলাদেশকে ডিম নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হলেও কেন তারা ভারতকে ইলিশ পাঠাচ্ছে না বা পাঠাতে নারাজ সেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তাদের প্রশ্ন, তারা তো আর বাংলাদেশ থেকে বিনামূল্যে ইলিশ নেবেন না। ইলিশের জন্য ন্যায্য টাকা দেবেন।
আসলে এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, যেহেতু ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ এবং তারাই বিশ্বের সমস্ত জায়গায় যা ইলিশ আমদানি করা হয় তার ৭৫ শতাংশ বাজার দখল করে রয়েছে, তাই গরজ দেখাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, ইলিশ বহু মূল্যবান মাছ হওয়ায় তা এখন তারা দেশের মানুষদের না দিয়ে ভারতকে দিতে পারবেন না।