Hilsa Fish: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের এক চরম রূপ দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যেহেতু শেখ হাসিনা ভারতের মধ্যে পা রাখেন বলে জানতে পারেন বাংলাদেশের জনগণ তাই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ (Hilsa Fish) রপ্তানি এক কথায় বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রথমদিকে নাক উঁচু করে থাকলেও অবশেষে ভারতবর্ষে তথা পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজোর মরশুমে ইলিশের রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ যার শেষ সময়সীমা ছিল গত শনিবার অর্থাৎ ১৩ ই অক্টোবর। রাতে সর্বশেষ ৪১ টন ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে সম্ভবত এ বছরের ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে।
তবে সময়ের সীমাবদ্ধতা, ইলিশের ঘাটতি এবং উচ্চ মূল্যের সমন্বয়ে রপ্তানিকারকরা এবার অনুমোদিত কোটার মাত্র ২২ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছেন। বেনাপোল বন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমানের মতে, ২৬শে সেপ্টেম্বর থেকে ১২ই অক্টোবরের মধ্যে, বরাদ্দকৃত ২,৪৫০ টনের মধ্যে মাত্র ৫৩৩ টন ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে, যা থেকে ৫.৩ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজীব নাজির বলেন যে, রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯টি ইলিশ (Hilsa Fish) রপ্তানি করতে ব্যর্থ হয়েছে। দুর্গা পূজার শুরুতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আমদানি বন্ধ হয়ে যায়, ইলিশ রপ্তানির জন্য মাত্র সীমিত সংখ্যক দিন পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীদের মতে, এই মৌসুমি সময়টি ধারাবাহিকভাবে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যা গত ৫ বছরে ভারতে রপ্তানি করা ইলিশের সম্পূর্ণ কোটা রোধ করে।
আরো পড়ুন: বাজারে উঠেছে নতুন ধরনের ইলিশ, স্বাদে বাংলাদেশের চেয়েও ভালো?
গত শনিবার যেখানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির সময়সীমা শেষ হতে চলেছিল ঠিক সেই সময় পদ্মাপাড়ের জেলা মাদারীপুরে জাঁকজমকভাবে চলছিল ‘ইলিশ মেলা’। কম দাম থেকে শুরু করে বেশি দামের ঝাঁ চকচকে রূপালী ইলিশ বিক্রি হচ্ছিল মাদারীপুরে। ভীড় জমেছিল ইলিশ প্রেমীদের। যার ফলে মাত্র কয়েক ঘন্টায় ২ কোটি টাকার শুধুমাত্র ব্যবসা হয় ইলিশ মাছের। এছাড়া
টেকেরহাট বন্দর, রাজৈর উপজেলার বেপারীপাড়া,
পুরানবাজার মাছের আড়ৎ, মস্তফাপুর মৎস্য ভাণ্ডার শনিবার দুপুরের পর থেকে শুরু হয় ইলিশের উৎসব। যেখানে হরেক রকমের ইলিশ পাওয়া যায় রাত ১২ টা পর্যন্ত। এই উৎসবের প্রধান তাৎপর্য ছিল যে পূর্ব নির্ধারিত দামের থেকে বেশ কম দামে বিক্রি করা হচ্ছিল ইলিশ মাছ (Hilsa Fish)। আগে যে ইলিশ মাছের দাম ছিল প্রায় ৭০০ টাকা, সেই ইলিশ মাছের দাম কমিয়ে ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া মাইকিং করে এই ঘোষণা চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল। যার ফলে প্রতিটি বাজারেই উপচে পড়ছিল ক্রেতাদের ভিড়।