ভারত সফরের মাঝেই বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ৫০ বর্ষপূর্তি এবং ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্বের ২০টি শহরে যৌথভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই ২০টি শহরের বেশ কিছু অনুষ্ঠান ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ, দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে। এরই মাঝে গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চার দিনের ভারত সফরে এসেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ভারত সফরে এসে তিনি পরপর দু’দিন বীরভূমের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখলেন।

বীরভূমের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার মূলে রয়েছে বিশেষ কারণ। সেই বিশেষ কারণটি হলো পূর্বপুরুষের টান। পূর্বপুরুষের টানেই বাংলাদেশের এই বিদেশমন্ত্রী বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে বুধবার এসে পৌঁছান লাভপুরে। লাভপুরের দরবারপুর গ্রামে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর মাসির বাড়ি। সেখান থেকেই আবার বৃহস্পতিবার এসে পৌঁছান বীরভূমের মহঃবাজার ব্লকের অন্তর্গত সেকেড্ডা গ্রামে।

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, বিভিন্ন নথি ঘেঁটে তিনি জানতে পেরেছেন তার পূর্বপুরুষ থাকতেন ভারতবর্ষেই। তার পৈতৃক বাড়ি ছিল মুর্শিদাবাদের মহিষা গ্রামে। তবে দেশভাগের সময় তার বাবা শামসুদ্দিন আলম সপরিবারে চলে যান বাংলাদেশে। তবে বিদেশমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার স্মৃতি রোমন্থন করে জানিয়েছেন, ছোটবেলায় তিনি বেশ কয়েকবার তার মাসির বাড়ি লাভপুরের দরবারপুরে কাটিয়েছেন।

বুধবার লাভপুরের দরবারপুর ঘুরে দেখার পর এবং আত্মীয়দের সঙ্গে স্মৃতি মন্থর হয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার তিনি এসে পৌঁছান মহঃবাজারের সেকেড্ডা গ্রামে। এখানে এসে তিনি জানান, একটি নথি থেকে তিনি জানতে পেরেছেন তাদের পূর্বপুরুষদের ১৭ পুরুষ এসেছিলেন এখানকার এই সেকেড্ডা গ্রামে। এখানে তারা দুজন এসেছিলেন লখনৌ থেকে। তারা এখানে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতেন। তারই মাজার রয়েছে এই জায়গায়। সেই মাজার তিনি এদিন ঘুরে দেখেন।

বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এদিন বীরভূমের এই বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখে জানান, “নিজের চোখে নিজেদের পূর্বপুরুষদের জায়গা দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এখানে ঘুরে জানতে পারছি তারা কি করতেন কিভাবে জীবনযাপন করতেন এসব।”