নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে দেশে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার বেড়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে এটিএম কাউন্টারের ব্যবহার। যে কারণে ব্যাঙ্কের দোরগোড়ায় ইদানিংকালে গ্রাহকদের খুব কম যেতে হয়। তবে ব্যাংকের দোরগোড়ায় কম দৌঁড়াতে হলেও এর গুরুত্ব কিন্তু কমে যায়নি।
নগদ টাকা জমা দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ব্যাংকের শাখায় যেতে হয় গ্রাহকদের। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে যদি কেউ ব্যাংকের শাখায় গিয়ে কোন কাজ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকেন তাহলে তাকে আগেভাগেই সেই কাজ করে নিতে হবে। কারণ আগামী সপ্তাহের শুরুতেই ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ব্যাংক কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার দিল্লিতে মুখ্য লেবার কমিশনার এস সি জোশির সঙ্গে বৈঠক হয় ব্যাংক ইউনিয়নগুলির। তবে সেই বৈঠকে ব্যাংক কর্মীদের যে সকল দাবি দেওয়া রয়েছে সে সকল দাবি দাওয়া পূরণ সম্পর্কিত কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের বিষয়ে অটল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্মচারীরা।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৭ জুন অর্থাৎ সোমবার ব্যাংক ধর্মঘটের পথে হাঁটতে চলেছেন ব্যাংক কর্মচারীরা। মূলত পাঁচ দফা দাবী দাওয়া নিয়ে এই ব্যাংক ইউনিয়নগুলির তরফ থেকে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই সকল দাবি দাওয়া পূরণের বিষয়ে এই সংগঠনগুলি আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামতে পারেন বলেও আভাস দেওয়া হয়েছে।
তাদের যে সকল দাবী দাওয়া রয়েছে সেগুলি হল, সপ্তাহে পাঁচ দিন কর্মদিবস অর্থাৎ শনিবার এবং রবিবার ছুটি থাকতে হবে। ব্যাংক কর্মচারীদের জন্য পুরাতন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা ইত্যাদি। যদিও এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার নতুন করে একটি বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে সমাধানসূত্র বেরিয়ে এলে ধর্মঘট তুলে নিতে পারে ব্যাংক সংগঠনগুলি।