Written on the note: নোটের উপর ভুল করে লিখে ফেলে ফ্যাসাদে পড়েছেন! রক্ষা পাওয়ার উপায়

If you write on the note, will the bank take it back at all: সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া নোট সংক্রান্ত বিষয়ে বিরাট এক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। মার্কেট থেকে দুই হাজার টাকার সমস্ত নোট তুলে নেওয়া হবে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ব্যাংকিং সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষের সচেতনতা ও সাবধানতা অনেক গুণ বেড়ে গেছে। ব্যাংক সংক্রান্ত খবরা খবর মানুষ অনেক বেশি করে লক্ষ্য রাখছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নতুন ব্যাংক সংক্রান্ত নিয়ম বার করছে কিনা সেই ব্যাপারে মানুষ সব সময় ওয়াকিবহাল থাকছে। এহেন অবস্থায় যদি কানে আসে নোটে লেখা থাকলে সেই নোট (written on the note) অবৈধ হয়ে যাবে তাহলে তো অবশ্যই চিন্তার বিষয়।

ব্যাংকিং সংক্রান্ত এই বিষয়টি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়াতে। যার থেকে ছড়িয়েছে এই আতঙ্ক। সাধারণ মানুষকে অবশ্যই পরখ করে দেখতে হবে এই বিষয়টি আদৌ কতটা সত্যি। ভুল করে কোন নোটে কিছু লিখে ফেললে (Written on the note) সেই নোটটির কি হবে? এ বিষয়ে সবাই রয়েছে আতঙ্কে।

নেট দুনিয়াতে বহু দরকারই খবর যেমন ভাইরাল হয় তেমনি কিছু কিছু এমন খবর আছে যা মানুষকে অযথাই আতঙ্কিত করে তোলে। তবে এই বিষয়টি অবশ্যই যাচাই করে দেখতে হবে। ভাইরাল হওয়া মেসেজটিতে বারবার বলা হচ্ছে কোন কারেন্সিতে ভুল করে কিছু লিখে ফেললে (Written on the note) সেটা কোন ব্যাংক আর কখনোই গ্রহণ করবে না। তবে এখনই এ বিষয়ে ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই। কারণ, পিআইবি ফ্যাক্ট চেকের একটি টুইটার পোস্টে বলা হয়েছে যে বার্তাটি ভুয়ো।

আসল বক্তব্যটি হল, স্ক্রিবলিং সহ কোন কারেন্সি অবৈধ হবে না। যেকোনো ব্যাংক সেই কারেন্সি গ্রহণ করতে পারবে। এমনকি আইনি দরপত্র হিসাবেও সেই নোট ব্যবহৃত হবে। টুইটারে আরো বলা হয় যে, ক্লিন নোট নীতির অধীনে, সবাইকে একটাই অনুরোধ জানানো হচ্ছে যে তারা যেন কারেন্সি নোটে কোনরকম কিছু না লেখে (Written on the note)। এরফলে নোটগুলি বিকৃত হয় এবং তাদের ব্যবহারের সময় কমে যায়।

ক্লিন নোট পলিসি ঘোষণা করা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল কারেন্সি নোট এবং কয়েনের সরবরাহ বাড়ানো। আরবিআই এর নির্দেশ অনুসারে, ব্যাংকের কারেন্সি চেস্ট শাখাগুলি যারা গ্রাহক নয় এমন ব্যক্তিকেও নোংরা ও বিকৃত নোট এবং কয়েন পাল্টে দিয়ে তার বিনিময়ে ভালো মানের নোট ও কয়েন দিতে বাধ্য। কিন্তু বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা ও জনসাধারণ অভিযোগ করেছে যে এই নির্দেশ সম্পূর্ণরূপে পালন করা হচ্ছে না। ক্লিন নোট পলিসি সারকুলারে, জনসাধারণকে কারেন্সি নোটে না লেখার অনুরোধ জানানো হচ্ছে এবং ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যেন নোংরা ও বিকৃত নোটের পরিবর্তে ভালো নোট প্রদান করে।