Bankura-Durgapur Line: দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবশেষে অবসান ঘটতে চলেছে। ভারতীয় রেল যাত্রীদের উন্নত পরিষেবা দেওয়ার সর্বদাই প্রচেষ্টা করে থাকে। বাংলার মানুষ বেশ কয়েক বছর ধরে অপেক্ষা করছিলেন এমন একটি প্রকল্প চালু হওয়ার জন্য যাতে যাতায়াতে সুবিধা হয়। আজকের এই প্রতিবেদনে বাংলার এমন একটি প্রকল্পের আপডেট উঠে আসবে যা সত্যি সাধারণ মানুষের পক্ষে কার্যকরী হবে। যদি রাজ্যে এই পরিষেবাটি একবার চালু হয়ে যায় তাহলে যাতায়াতের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে এমনটা আশা করা যাচ্ছে।
নতুন এই রেল প্রকল্পটি হল বেলিয়াতোড় থেকে দুর্গাপুর এবং বাঁকুড়া থেকে রানীগঞ্জ রেল (Bankura-Durgapur Line) নেটওয়ার্ক। সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করেছে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য। এই লাইনগুলিতে সার্ভের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সবকিছুই সম্ভব হয়েছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-এর উদ্যোগে। বাংলার মানুষ রেল ও সাংসদের উদ্যোগের ফলে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ছবির ভাইরাল হয়েছে নিমেষের মধ্যে। সেই ছবিটি রেলের পক্ষ থেকে পোস্ট করা হয়েছে এমনটা মনে করা হচ্ছে। ভাইরাল হওয়া সেই পোস্ট অনুযায়ী, বেলিয়াতোড় থেকে দুর্গাপুর ও রানীগঞ্জ থেকে বাঁকুড়া রেলপথে (Bankura-Durgapur Line) সার্ভের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। যদি একবার এই রেলপথ দুটি সংযোগ হয়ে যায় অর্থাৎ বাঁকুড়ার সাথে রেলপথে যুক্ত হয়ে যাবে দুর্গাপুর ও রানীগঞ্জ, যাতায়াতের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যেমন সময় বাঁচবে তেমনি দেখ বাবুর কতক্ষণ বাকি আর্থিকভাবে লাভবান হবে বাঁকুড়ার কৃষক থেকে ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন:Indian Railways: বাংলার রেলব্যবস্থা সেজে উঠছে নতুনভাবে, বরাদ্দ টাকার পরিমাণ অবাক করার মতো
শুধু এখানেই শেষ নয় এই রেলপথ একবার সংযোগ হলে মশাগ্রাম রেল যোগাযোগ ও বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের থেকে অনেকটাই উন্নত হবে। বাঁকুড়ার মানুষরা এই দুই নতুন রেলপথ নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। আশা করা যাচ্ছে যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাঁকুড়া থেকে রানীগঞ্জ, দুর্গাপুর, বেলিয়াতোড় অংশে ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে। তবে রেল কর্তৃপক্ষ এখনো স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি কবে শুরু হবে এই পরিষেবা।
রেললাইন সম্প্রসারণের দাবি উঠে আসার জন্য পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের রানিগঞ্জ স্টেশন থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত রেললাইন (Bankura-Durgapur Line) সম্প্রসারিত করা হবে। রানিগঞ্জের বণিক সভা, বাঁকুড়া মৈত্রী সংঘ সহ একাধিক সংগঠন এবং বিভিন্ন মহল থেকে বেশ কয়েক বছর ধরেই এই দাবি উঠে এসেছে। রানিগঞ্জ থেকে বাঁকুড়ার মেজিয়া পর্যন্ত রেললাইন তৈরি হয়ে আছে। সেই লাইন দিয়ে ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়মিত কয়লার মালগাড়ি যাতায়াত করে। রানীগঞ্জে থেকে বাঁকুড়া শহর পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার এর দূরত্ব বাসের মাধ্যমে অতিক্রম করা হয়। এই রেলপথ যদি সংযোগ হয়ে যায় তাহলে যাতায়াত হয়ে যাবে আগের থেকে আরও অনেক বেশি আরামদায়ক। কারণ বাস পরিষেবা সারাদিন ঠিকমতো থাকে না। ফলে বহু মানুষকে দুর্গাপুর হয়ে বাসে বা আসানসোল থেকে ট্রেনে বাঁকুড়ায় যেতে হয়। রেল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে যত দ্রুত সম্ভব এই পরিষেবা চালু করা যায়।