নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রাথমিক হোক অথবা উচ্চশিক্ষা, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে রাজ্যে নানান দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। এই সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালত রায় দিয়ে ইতিমধ্যেই শতাধিক শিক্ষকের চাকরি কেড়ে নিয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে আজব এক শিক্ষকের দেখা মিলেছে বাঁকুড়ায়।
বাঁকুড়ার চড়ুইকুঁড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজীব কুমার দীক্ষিতের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েক দিন ধরেই ভাইরাল। আসলে ঐ শিক্ষক ২০২১ সালে বাঁকুড়ার ওই স্কুলে নিযুক্ত হন। এরপর যখন স্কুল খুলে তখন স্কুলের ছাত্ররা তাদের অভিভাবকদের জানান, ঐ শিক্ষক ঠিকঠাক পড়াতে পারছেন না। এমত অবস্থায় একদিন অভিভাবকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ওই স্কুলে আসেন এবং ওই শিক্ষকের রীতিমতো পরীক্ষা নেন।
পরীক্ষা নেওয়ার সময় ঐ শিক্ষককে ব্ল্যাকবোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে একটি সাধারণ বিয়োগ করতে বলা হয়। ৭০০২৩ থেকে ১২৯৭৬ বিয়োগ করতে বলা হলে ওই শিক্ষকের সেই বিয়োগ করতে কালঘাম বেরিয়ে যায়। এমনকি শেষ পর্যন্ত তিনি ওই বিয়োগ করতেও পারেননি। পরে ওই বিয়োগটি করে ওই শিক্ষকের মুখে ঝামা ঘঁষে দেয় দ্বিতীয় শ্রেণীর এক পড়ুয়া।
ঐ শিক্ষক যে কেবলমাত্র অংক করাতে পারেন না এমনটা নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ তিনি বাংলায় ঠিকঠাক পড়তে পারেন না। অংক, ইংরেজি তো অনেক দূরের কথা। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে ওই শিক্ষক রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় থেকে ২২ বছর বয়সে মাধ্যমিক পাশ করেছেন, তাও আবার টেনেটুনে। তবে এসবের পরেও ওই শিক্ষকের দাবি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ঠিক কি বলেছেন ঐ শিক্ষক!
ঐ শিক্ষককে প্রশ্ন করা হলে তিনি আজব দাবি তুলে জানান, ‘মিথ্যা কথা বললে আমি কি করবো। কোন কিছু সাজিয়ে বলে দিলে আমি কি করব। আমি ঠিক পড়াই কিন্তু আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’ যদিও এরপর একাধিক প্রশ্নের মুখে ওই শিক্ষক চুপচাপ বসে সবকিছু শুনলেও কোন উত্তর দেননি। এত বড় ঘটনার পর এই ঘটনাকে সাজানো ঘটনা বলে দাবি করা সত্যিই ঐ শিক্ষকের আজব দাবি।