নিজস্ব প্রতিবেদন : এক বছর আগেই কেন্দ্র সরকারের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে মুর্শিদাবাদের একমাত্র সতীপীঠ কিরীটেশ্বরী দেশের সেরা পর্যটন গ্রামের স্বীকৃতি দিয়েছিল। এরপর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মুর্শিদাবাদে মুকুটে আরও একটি পালক জুড়লো। কেননা মুর্শিদাবাদের আরও একটি গ্রাম পর্যটনে দেশের সেরা গ্রামের তকমা পেল। এবার তকমা পেয়েছে মুর্শিদাবাদের বড়নগর (Baranagar Village)।
বড়নগর গ্রাম মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের লালবাগের একটি গ্রাম। কেন্দ্রের পর্যটন মন্ত্রকের কৃষি-পর্যটন প্রতিযোগিতায় সেরা পর্যটন গ্রামের তকমা পেয়েছে এই গ্রামটি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সুখবর সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন এবং খুশির খবরটি সবার সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসের দিন পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে।
বড়নগর গ্রামটি দ্বিতীয় বারাণসী হিসাবে পরিচিত। ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত এই গ্রামে গঙ্গা বারাণসির মতোই উত্তরবাহিনী। নাটোরের রানী ভবানী অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে এই গ্রামে তার বাল্যবিধবা মেয়েকে নিয়ে বসবাস শুরু করেছিলেন। এখানে বসবাস শুরু করার পর তিনি গ্রামে একের পর এক মন্দির তৈরি করার কাজ শুরু করেন। তার স্বপ্ন ছিল এই গ্রামকে দ্বিতীয় বারাণসী তৈরি করা।
এই গ্রামে যে সকল মন্দির রয়েছে তার অধিকাংশ মন্দির টেরাকোটা মন্দির। গ্রামে রয়েছে ভবানীশ্বর, রাজরাজেশ্বরী, গঙ্গেশ্বর শিব, পঞ্চমুখী শিব, সিদ্ধেশ্বরী, আদ্যা মন্দির সহ বিভিন্ন দেব-দেবতার মন্দির। বিষ্ণু, শিব, কালী সহ নানান দেব-দেবীদের পুরাতন মূর্তিও রয়েছে এই গ্রামে। মন্দিরের গায়ে হিন্দু পুরাণের বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ উল্লেখ রয়েছে। এই গ্রাম অষ্টাদশ শতকের বহু ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গ্রামের এমন তকমা পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরার পাশাপাশি লিখেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় পর্যটনের মন্ত্রণালয়ের কৃষি ও পর্যটন প্রতিযোগিতায় মুর্শিদাবাদের বড়নগর পর্যটনে দেশের সেরা গ্রামের তকমা পাওয়ায় আমি আপ্লুত। এই রাজ্যে যে সকল অনন্য ভান্ডার রয়েছে, সেসবের প্রচার করে বিশ্বের দরবারে আরও বেশি পৌঁছে দেবো আমরা।”