নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন যত এগিয়ে চলেছে ততই সবকিছুই আধুনিক হচ্ছে। ঠিক সেই রকমই আধুনিক হচ্ছে পুলিশও। আগে যেখানে পুলিশ জিপ গাড়িতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা ছুটে যেত সেই জায়গায় এখন উন্নত মানের যানবাহন ব্যবহার করা হয়। তবে এবার এই সকল উন্নত মানের গাড়ি-বাইক ছেড়ে চোর ছ্যাচড়দের ধরার জন্য অভিনব এক কৌশল নিচ্ছে পুলিশ (Police)।
অভিনব এই কৌশল নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। কড়া হাতে আইন নিয়ন্ত্রণের জন্য এই এলাকার ছয়টি থানা বেছে নেওয়া হয়েছে। যেখানে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হয়েছে বিট পুলিশিং। এই পরিষেবা আগামী দিনে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়ার সহ শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা।
বিট পুলিশিং (beat policing) ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার যে সকল জায়গায় স্পর্শকাতর সেই সকল জায়গায় টহল দেবে পুলিশ। এই স্পর্শকাতর এলাকায় এক একজন করে কনস্টেবল থাকবেন যারা প্রতিনিয়ত টহল দেবেন। তবে এই সকল পুলিশ কনস্টেবলটা এলাকায় পৌঁছানো এবং টহল দেওয়ার ক্ষেত্রে গাড়ি অথবা বাইক পাবেন না।
বিট পুলিশিং ব্যবস্থায় ওই সকল পুলিশ কনস্টেবলদের দেওয়া হয়েছে একটি করে বাইসাইকেল। বাই সাইকেলে এলাকায় পৌঁছানোর পর পায়ে হেঁটে এলাকা ঘুরতে হবে পুলিশ কর্মীদের। উর্দি পড়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি বিট পুলিশদের এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এর পাশাপাশি মন্দির মসজিদ রয়েছে এমন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে, পাশাপাশি যোগাযোগ রাখতে হবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে। প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে তাদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে খোঁজ রাখতে হবে।
পুলিশ কর্মীরা সাইকেলে করে এলাকায় যাচ্ছেন কিনা অথবা সেখানে নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছেন কিনা তা পুরোটাই ট্র্যাক রাখা হবে। এছাড়াও এলাকার মানুষদের সই সংগ্রহ করে আনতে হবে। আপাতত এমন বিট পুলিশিং ব্যবস্থা খড়দহ, টিটাগড়, কামারহাটি, জগদ্দল, ভাটপাড়া এবং হালিশহর ছয়টি থানা এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে।