শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে সেনা হেলিকপ্টার। তামিলনাড়ুর কুন্নুরে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। সবথেকে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ওই হেলিকপ্টারে ছিলেন তিন সেনা বাহিনীর প্রধান বিপিন রাওয়াত সহ তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত। আর সাথে নিরাপত্তার জন্য থাকা সেনাকর্মীরা। হেলিকপ্টারের এমন দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যু হয়েছে সেনাবাহিনীর প্রধান বিপিন রাওয়াতের। যা দেশবাসীর কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি ঘটনা।
তবে এই ঘটনা এই প্রথমবার নয়। এর আগেও বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব পড়েছেন এমন ক্র্যাশের কবলে। এমন কিছু বিখ্যাত মানুষের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক
২০১৯ সালের ২ রা সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুলে রুদ্রকোনা পাহাড়ের কাছে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডি।
দক্ষিণী অভিনেত্রী সৌন্দর্য্যকে সব দর্শকরাই চেনেন। ২০০৪ সালের ১৭ এপ্রিল বিজেপির ভোট প্রচারের উদ্যেশ্যে বেঙ্গালুরু থেকে করিমনগরের দিকে যাওয়ার সময় কপ্টার ক্র্যাশে তাঁর মৃত্যু হয়।
এমনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রয়াত হয়েছিলেন কংগ্রেসের মন্ত্রী মাধবরাও সিন্ধিয়া। ২০০১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিমানে আগুন লাগার ফলে সেটি ভেঙে পড়ে এবং তাঁর মৃত্যু হয়।
২০০২ সালের ৩ মার্চ লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার জিএমসি বালাযোগীর মৃত্যুও ঘটেছিল এমন দুর্ঘটনায়। যা দেশবাসীর কাছে অত্যন্ত খারাপ সংবাদ ছিল।
প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ সঞ্জয় গান্ধী ১৯৮০ সালের ২০ জুন দিল্লিতে সাফদরজং বিমানবন্দরে এমন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়।
অরুণাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দোরজি খানদু হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেলে পরে তাঁর মৃত্যু যে দুর্ঘটনার ফলেই হয়েছে তা তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম নিশ্চিত করেছিলেন।
জিন্দাল কোম্পানির চেয়ারম্যান ওম প্রকাশ জিন্দল মারা গিয়েছিলেন ২০০৫ সালের ৩১ মার্চ।
সিপিআইএম ও পরবর্তীকালে জাতীয় কংগ্রেসের নেতা মোহন কুমারমঙ্গলমের মৃত্যুও ১৯৭১ সালে ৩১ শে মে বিমান দুর্ঘটনার ফলে হয়েছিল। প্রথমে তাঁকে শনাক্ত করা না গেলেও পরে পার্কার পেন দেখে তাঁকে চেনা গিয়েছিল।
এইভাবেই দেশের বহু বিখ্যাত সব ব্যাক্তিত্বের অকাল প্রয়াণ ঘটেছিল বিমান দুর্ঘটনায়।
আর এবার এই তালিকায় নাম লেখালেন সিডিএস বিপিন রাওয়াত এবং তার স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত। এছাড়াও এই কপ্টারে ছিলেন সেনাবাহিনীর আরও কয়েকজন অধিকর্তা বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।