Before buying know the Advantages and Disadvantages of EV Scooter: সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে বাজারে এসেছে ইলেকট্রিক ভার্সনের বিভিন্ন মডেলের গাড়ি। যা পেট্রোল-ডিজেলের খরচ যেমন কম করে তেমন পরিবেশ দূষণ রুখতেও সহায়তা করে। যার ফলে প্রতিনিয়তই জ্বালানি গাড়ি বিক্রি তুলনায় এই বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আপনিও কি এই ধরনের স্কুটার কেনার পরিকল্পনা করছেন তাহলে আগে জেনে নিন এই স্কুটার কিনলে কি সুবিধা-অসুবিধা (Advantages-Disadvantages of EV Scooter) তৈরি হতে পারে।
কোনো জিনিসই হুট করে কিনে নেওয়া ভালো নয়। যে কোনো জিনিস কিনতে গেলে আগে তার সুবিধা-অসুবিধাগুলি দেখে নেওয়া দরকার। সেরকমই সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই রয়েছে ইলেকট্রিক স্কুটারের সুবিধা-অসুবিধা না জেনে কিনে নিচ্ছেন। পরবর্তীকালে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবর্ষে ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রির সংখ্যা তার পূর্ব অর্থবর্ষের তুলনায় ৩৩.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পরিবেশবান্ধব যতই হোক না কেন আগে সুবিধা-অসুবিধা (Advantages-Disadvantages of EV Scooter) পরখ করে তবেই জিনিস কেনা উচিত। তাই আজকের এই প্রবন্ধে জেনে নিন ইলেকট্রিক স্কুটার সুবিধা এবং অসুবিধা কি কি।
ইলেকট্রিক স্কুটারের অসুবিধা
চার্জিং টাইম:- বৈদ্যুতিক স্কুটারের অন্যতম সমস্যা বা অসুবিধা হলো চার্জিং। যেখানে পেট্রোল চালিত স্কুটারে পেট্রোল ভরলেই গাড়ি চালানো যায়, সেক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক স্কুটারে ব্যাটারি চার্জ না দিলে চলে না। তাই এক্ষেত্রে কিছু কিছু ব্যাটারি রয়েছে যা চার্জ দিতে অনেকটাই টাইম লাগে।
ব্যাটারি ক্ষমতা:- ইলেকট্রিক স্কুটার ব্যাটারি চালিত। এক্ষেত্রে ব্যাটারির দাম বেশ অনেকটাই বেশি। কিন্তু ব্যাটারির ক্ষমতা বা টেকসই খুব বেশিদিন হয় না। ফলে ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে গেলে ব্যাটারি কেনার একটা সমস্যা তৈরি হয়।
পরিকাঠামো:- দেশীয় বাজারে জ্বালানি স্কুটার যে পরিকাঠামো তার তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে ইলেকট্রিক স্কুটারের পরিকাঠামো। এই বিষয় নিয়ে চলছে কাজ। তবে এখনো ঠিকঠাকভাবে পরিকাঠামো গড়ে উঠতে পারেনি।
মূল্য:- পরিবেশবান্ধব হলেও পেট্রোল-ডিজেল চালিত স্কুটারের তুলনায় ইলেকট্রিক স্কুটারের দাম বেশ অনেকটাই বেশি। যদি তা ভালো রেঞ্জের হয়। সেক্ষেত্রেও একটা অসুবিধা রয়েছে।
ইলেকট্রিক স্কুটারের সুবিধা
পরিবেশবান্ধব:- বৈদ্যুতিক স্কুটারের অন্যতম প্লাস পয়েন্ট হলো এটি পরিবেশবান্ধব। কারণ এই ধরনের গাড়িগুলি থেকে কোনো ধোঁয়া নির্গত হয় না। যা পরিবেশকে দূষণ মুক্ত রাখে।
স্টোরেজ স্পেস:- নিত্য যাতায়াতের জন্য ইলেকট্রিক স্কুটার অন্যতম সুবিধাযুক্ত। কারণ এই স্কুটারে স্টোরেস স্পেস অনেকটাই থাকে। যেখানে হেলমেট, জলের বোতল, অফিস ব্যাগ, বাজার বাগ ইত্যাদি বহন করা যায়।
হালকা ওজন:- পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক স্কুটারের অন্যতম সুবিধা হল ওজন। সেরকম কোনো ভারি পার্টস না থাকায় ইলেকট্রিক স্কুটারগুলি অনেকটাই হালকা ওজনের হয়।
আরও পড়ুন ? Okaya Electric Scooter: ২৫ পয়সা খরচে ছুটবে ১ কিমি! ৫০০ টাকা দিয়ে ঘরে আনা যাবে এই ইভি বাইক
রানিং কস্ট:- যেখানে পেট্রোল চালিত স্কুটারে পেট্রোল ভরতে গেলে অনেক টাকা গুনতে হয়, সেদিক থেকে ইলেকট্রিক স্কুটারের রানিং কস্ট অনেকটাই কম। এতে অনেক টাকাই সাশ্রয় হয়। যা এই স্কুটির একটি প্লাস পয়েন্ট।
শব্দদূষণ রোধ:- পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক স্কুটারের বড় সুবিধা হল শব্দদূষণ রোধ। পেট্রোল চালিত স্কুটার চালালে শব্দ বের হয়। কিন্তু অপরদিকে বৈদ্যুতিক স্কুটারের কোনো আওয়াজ বের হয় না।
উপরে উল্লেখিত বৈদ্যুতিক স্কুটারের সুবিধা-অসুবিধাগুলি (Advantages-Disadvantages of EV Scooter) জেনে গেলেন। এবার আপনি বেছে নিতে পারবেন কোন স্কুটি আপনার জন্য ভালো ইলেকট্রিক স্কুটার নাকি পেট্রোল চালিত স্কুটার।