নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলার বুকে যে সকল পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে সেইসব পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে দীঘা (Digha) অন্যতম। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এই সমুদ্র সৈকত বছরের প্রতিটি দিনই হাজার হাজার পর্যটকদের টেনে থাকে। রাজ্যে অন্যান্য সমুদ্র সৈকত থাকলেও, দীঘার জনপ্রিয়তার কাছে সেই সব সমুদ্র সৈকতকে নিমেষে হার মানতে হয়। এবার এই সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করে প্রশাসনের তরফ থেকে দীঘাকে নিয়ে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হল।
জনপ্রিয়তার নিরিখে বাংলার অন্যান্য সমুদ্র সৈকতের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকার ফলে দীঘায় প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকদের আগমন হলেও বেশ কয়েকটি অভিযোগ প্রতিনিয়ত সামনে আসতে দেখা যায়। সেইসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে স্বচ্ছন্দহীনতা। এবার এই অভিযোগের বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রশাসনের তরফ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এমন কড়া পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে বদলে যাবে দীঘার রূপ।
দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে গত বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক করা হয়। যে বৈঠকে পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে তৎপরতা। স্বাচ্ছন্দ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে এবার দীঘার সমুদ্র সৈকতের পাড় থেকে উচ্ছেদ করা হবে হকারদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হকারদের রমরমা বাজারের জন্য পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দে হাঁটা চলায় ব্যাঘাত হচ্ছে বলে অভিযোগ আসতে দেখা যায়।
দিঘাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার হকার উচ্ছেদ করে দিঘাকে পর্যটকদের কাছে আরও স্বাচ্ছন্দের জায়গা করে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বড়দিনের আগেই সমস্ত হকার উচ্ছেদ করে দীঘার সমুদ্র পাড়কে অন্যরূপ দেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যেসব হকাররা স্টলের জন্য আবেদন করেছিলেন তাদের বাদ দিয়ে বাকি যেসব হকাররা রমরমিয়ে ব্যবসা করছেন তাদের তুলে দেওয়া হবে। প্রশাসনের তরফ থেকে জোড় করে কোনরকম ভাঙ্গাভাঙ্গির পদক্ষেপ নিতে চাইছে না। যে কারণে তাদের তরফ থেকে মূলত মাইকিং করে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে এবং অবৈধভাবে যারা ব্যবসা করছেন তাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এরপরেও যদি প্রশাসনের আবেদন শোনা না হয় তাহলে অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে যারা স্টলের জন্য আবেদন করেছিলেন অথচ স্টল পাননি তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। সেই পরিচয়পত্র দেখিয়ে তারা ব্যবসা করতে পারবেন।