প্রীতিময় চ্যাটার্জি : এয়োদশীর দিনে পুরন্দরপুরের বেহিরা কালিতলা ভক্তদের ভিড় জমজমাট। শুক্রবার সকাল থেকে অগণিত ভক্ত পুজো দিতে আসেন বেহিরার নিম্ববাসিনী কালিতলায়। ভরদ্বাজ মুনির সাধন পীঠ এটি। এখানে তাঁর পঞ্চমুণ্ডীর আসন এখনও বর্তমান।
কথিত আছে, মা অন্নপূর্ণাকে কাশী থেকে নৌকায় চাপিয়ে বক্রেশ্বরে আনছিলেন অষ্টাবক্রামুনি। কিন্তু পুরন্দরপুরের বেহিরা গ্রামে বক্রেশ্বর নদীতে জলের অভাবে নৌকাটি আটকে যায়। তখন সেই স্থানে তপস্যা করছিলেন ভরদ্বাজ মুনি। তাঁর আহ্বানে দেবী অন্নপূর্ণা কালিরূপে একটি নিমগাছের নীচে অধিষ্ঠিত হন। এই কালি এলাকায় নিম্ববাসিনী কালি নামে পূজিতা হন। পরে চারফুট উচ্চতার এই কালির মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন স্থানীয় শিল্পী পীযূষ মন্ডল।
এছাড়া কালির মাথার কারুকাজ করা রূপোর মুকুট বানিয়েছিলেন বাঁকুড়ার শিল্পীরা। ইলামবাজার নিবাসী পার্থ মুখোপাধ্যায়ের পরিবার বংশপরম্পরায় দেবী নিম্ববাসিনী কালির সেবাইত। দুর্গা পূজার চারদিন মা নিম্ববাসিনী কালি এখানে মহামায়া রূপে পূজিতা হন। পূজার পর ত্রয়োদশ তিথিতে প্রতি বছর বহু মানুষের সমাগম হয়।
এবছরও পুরন্দর ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে ভক্তরা ভিড় করেন এখানে। দূর দূরান্ত থেকে বহু দর্শনার্থীরা এখানে সমবেত হন। অনেক ভক্ত মা কালির পুজো দেন। এই উপলক্ষে মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। বসেছে গ্রামীণ মেলা।মেলায় অনেক ইমিটেশন, মনিহারি দোকান, খেলনার দোকান বসেছে। এছাড়াও বসেছে জিলিপি, চাট, ফুচকার দোকান। ক্রেতাদের ভিড় সব দোকানেই।