নিজস্ব প্রতিবেদন : একাধিক নতুন নতুন আবিষ্কারের জন্য বর্ধমানের মেমারিতে ১৭ বছরের দিগন্তিকা বারংবার নজর কেড়েছেন, বাঙ্গালীদের নাম একাধিকবার বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। আর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই এবার বিশেষ ধরনের মাস্ক বানিয়ে গুগোলের সেরা দশে স্থান করে নিলেন এই বাঙালি কন্যাশ্রী। তার তৈরি বিশেষ ধরনের মাস্ক ভাইরাস রুখে দিতে নতুন পথ দেখাচ্ছে।
বর্তমান করোনাকালে মাস্কের ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে দিগন্তিকার তৈরি এই মাস্ক অনন্য। কারণ এটি ধুলোবালি মুক্ত রাখার পাশাপাশি ভাইরাস প্রতিরোধ এবং ইনহেলারের কাজ করবে। এই মাস্ক কম খরচে করোনা মোকাবিলায় সাহায্য করবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। মুম্বইয়ের মিউজিয়াম অব ডিজাইন এক্সলেন্সের সাহায্যে মাত্র ১৭ বছর বয়সে দিগন্তিকা এই অসাধ্য সাধন করেছেন। এই মাস্কের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিটারেন্ট মাস্ক ২০২০’। ইতিমধ্যেই তার মাস্ক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রশংসা কেড়েছে। পাশাপাশি এই মাস্ক যাতে দ্রুত বাজারে আনা যায় তার প্রচেষ্টায় চালাচ্ছেন দিগন্তিকা।
দিগন্তিকার এই বিশেষ ধরনের মাস্ক সম্প্রতি জায়গা করে নিয়েছে গুগলের ‘গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচারে’। এটি হলো একটি ভার্চুয়াল মিউজিয়াম। যেটি গুগল ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠা করে। যেখানে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সেরা শিল্পকর্ম, পণ্য ও সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলি সংরক্ষণ করা হয় অনলাইন মাধ্যমে। আর সেখানেই জায়গা করে নিল দিগন্তিকা এই ‘ডিটারেন্ট মাস্ক ২০২০’।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার বর্ধমানের মেমারির সুলতানপুরের বাসিন্দা দিগন্তিকা বোস, যিনি বর্তমানে মেমারি ভি.এম. ইনস্টিটিউট ইউনিট ২ এর দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী একাধিক অভিনব আবিষ্কারের জন্য ক্ষুদে বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচয় লাভ করেছেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তাঁর ঝুলিতে যেসকল আবিষ্কার রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো স্মার্ট বেল্ট, ডাস্ট কালেক্টর অ্যাটাচমেন্ট ফর ড্রিল মেশিন, অভিনব চশমা যা দিয়ে ৩১৫ ডিগ্রী দেখা যায় ইত্যাদি।