নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের পাশাপাশি বাংলার করোনা পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত জটিল হচ্ছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল রাজ্য। আর এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্যের একাধিক জেলার জেলাশাসকদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে একাধিক কড়া নির্দেশিকা জারি করলো নবান্ন।
রাজ্যে ভোট চলাকালীন করোনা যেভাবে থাবা বসাতে শুরু করেছে তার জন্য চিকিৎসকরা মিটিং-মিছিল সহ রাজনৈতিক একাধিক সমাবেশকে দায়ী করছেন। তবে এসবের পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের মধ্যেও গা-ছাড়া মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১০ জেলায় নির্বাচন হয়ে গেছে। আর সেই সকল জেলাগুলির ক্ষেত্রে করোনার লাগাম টানতে উদ্যোগ নিলো নবান্ন।
নবান্নের নির্দেশিকায় যে সকল জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
১) গত বছর হাসপাতালগুলিতে যে সংখ্যক বেডের ব্যবস্থা ছিল এবার তার সংখ্যা যেন ২০ শতাংশ বাড়ানো হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২) করোনা ঠেকাতে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৩) আরটিপিসিআর টেস্ট যাতে বিপুল সংখ্যায় বাড়ানো হয় তার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।
৪) যে সকল এলাকায় জনবহুল সেই সকল জায়গায় অবাঞ্ছিত ভিড় বাড়ানো যাতে না হয় তার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।
৫) প্রতিটি হাসপাতালে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
৬) পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যাম্বুলেন্স এবং ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ।
৭) সচেতনতা প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো রকম ঢিলেমি যেন লক্ষ্য না করা যায়। যেসকল জেলাগুলিতে ভোট মিটে গিয়েছে সেই সকল জেলায় এই প্রচার বাড়ানোর নির্দেশ।
৮) সেফ হোম বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেফহোমগুলিকে চিকিৎসক নির্দিষ্ট করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[aaroporuntag]
৯) নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জেলা প্রশাসনে থাকা আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচনের প্রচারের অনুমতি নিতে আসা রাজনৈতিক দলগুলিকেও যেন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।