দাম কমবে পেট্রোল, ডিজেলের! ৩০০ কোটি ব্যয়ে বাংলায় গড়ে উঠছে নতুন এই কারখানা!

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে পেট্রোল এবং ডিজেলের (Petrol Diesel) প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের জানা আছে। পেট্রোল ডিজেল ছাড়া অধিকাংশ যানবাহন চলে না। যে কারণে পেট্রোল-ডিজেলের দাম দিন দিন বেড়ে চললেও চাহিদায় এতোটুকু খামতি নেই। যদিও সাম্প্রতিককালে সিএনজি, ইলেকট্রিক ইত্যাদির চাহিদা বাড়ছে। তবে এখনো এই ধরনের যানবাহন পুরোপুরিভাবে বাজার দখল করতে পারেনি বা দখল করতে অনেক দেরি।

Advertisements

পেট্রোল ডিজেলের দাম যেমন দিন দিন বেড়ে চলেছে ঠিক সেই রকমই আবার পেট্রোল ডিজেল চালিত যানবাহনের কারণে পরিবেশ দূষণের মাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সরকার সবসময়ই বিকল্প শক্তির ব্যবহার করে যানবাহন চালানোর দিকে জোর দিচ্ছে। বিকল্প শক্তির ব্যবহারে ধাপে ধাপে জায়গা দখল করছে ইলেকট্রিক যানবাহন। অন্যদিকে বর্তমানে বাজারে থাকা পেট্রোল ডিজেল চালিত যানবাহনের ক্ষেত্রেও নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

Advertisements

কেন্দ্র সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী দিনে পেট্রোল এবং ডিজেলের সঙ্গে ইথানল (Ethanol) মেশানো হবে এবং বাজারে বিক্রি করা হবে। ইথানল মেশানো হলে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম যেমন অনেকটাই কমে যাবে ঠিক সেই রকমই আবার পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমবে। এর পাশাপাশি উঠানোর ব্যবহার শুরু হলে লাভবান হবেন দেশের কৃষকরা। ২০২৫ সালের মধ্যেই এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে কেন্দ্রের।

Advertisements

আর এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে এবার বাংলার বুকে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বিরাট ইথানল কারখানা গড়ে উঠবে বলে জানা যাচ্ছে। ৫২ একর জমির উপর তৈরি হবে এই কারখানা। jsr গ্রেন এনার্জি এমন কারখানা তৈরি করবে বলে জানা যাচ্ছে। এই কারখানা তৈরি হলে এখানে সরাসরি ৫০০ জন চাকরি পাবেন। এদিকে এই কারখানা তৈরি হলে আনুমানিক ১০০০০ কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন।

বাংলার বৃহত্তম এমন ইথানল কারখানা তৈরি হবে মালদার গাজোলে। ইতিমধ্যেই এই কারখানার জন্য ৫২ একর জমির মধ্যে ২৮.১৫ একর জমির রাজ্য সরকার ৯৯ বছরের জন্য লিজে দিয়েছে। আগামী আট মাসের মধ্যেই এই কারখানা থেকে ইথানল তৈরি হবে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এই কারখানা থেকে দিনে দু’লক্ষ লিটার ইথানল তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রতিদিন দু’লক্ষ লিটার ইথানল তৈরি করার জন্য ৬০০ টন চাল প্রয়োজন হবে। মুর্শিদাবাদ, মালদা, দিনাজপুর সহ অন্যান্য যে সকল জেলায় ধান ভালো উৎপাদিত হয় সেখানকার চাষীরা সরাসরি এখানে চাল বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও সরকারের থেকেও প্রয়োজনীয় চাল নেওয়া হবে।

Advertisements