নিজস্ব প্রতিবেদন : স্কুলে গেলেই এখন মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) খাবার পাওয়া যায়। পড়ুয়াদের পুষ্টির অভাব দূর করার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে এবং এই প্রকল্প সমানভাবে চলছে দেশের প্রতিটি রাজ্যে। মিড ডে মিলে ভাত, খিচুড়ি সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এসবের বাইরে এবার মিড ডে মিলের খাবার ছাড়াও দেওয়া হবে ব্রেকফাস্ট (Breakfast)। এমনই অভিনব একটি উদ্যোগ নিতে দেখা গেল বাংলার এক স্কুলে।
ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মূলত পড়ুয়াদের পুষ্টির কথা মাথায় রেখেই। কেননা তারা উপলব্ধি করেছেন, পড়ুয়াদের বড় অংশ কোনরকম ব্রেকফাস্ট না করেই স্কুলে চলে আসে। না খেয়ে পড়াশোনা শুরু করার পর যখন মিড ডে মিলের খাবার দেওয়া হয় তখন তারা খায়। এতে তাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতিই হচ্ছে। এই সকল দিকের বিচার বিবেচনা করে তারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের পাশাপাশি ব্রেকফাস্ট দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।
অভিনব এমন উদ্যোগ নেওয়া স্কুলটি হল বর্ধমানের শ্রী রামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যাপীঠ প্রাইমারি বিদ্যালয়। পড়ুয়ারা স্কুলে এলেই তাদের প্রথমে ব্রেকফাস্ট এবং পরে কিছুক্ষণ পড়াশোনা করার পর মিড ডে মিল দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এই স্কুলটিতে। মঙ্গলবার থেকে এমন অভিনব উদ্যোগ শুরু করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই উদ্যোগের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘সকালের পুষ্টি, সকলের পুষ্টি।’
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, তাদের তরফ থেকে এই যে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার জন্য বছরে অন্ততপক্ষে তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে। এই টাকা তারা পুরোপুরি ব্যক্তিগতভাবে জোগাড় করছেন। এই প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রত্যেক বছর খরচের অর্ধেক অর্থাৎ দেড় লক্ষ টাকা দেবেন স্কুলের শিক্ষিকা লাবণ্য রায়। বাকি টাকা দেবেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক পলাশ চৌধুরী এবং তার বন্ধু ডঃ রাসবিহারী ধনী।
পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের উদ্যোগ এর আগে কোন স্কুলে দেখা যায়নি। এমন প্রথম উদ্যোগ নিল বর্ধমানের শ্যামসায়র অঞ্চলের এই স্কুলটি। স্কুলটির এমন উদ্যোগ এখন রাজ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই প্রকল্প চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোন বাধা না হয় তার জন্য আগাম ২০২৪ সালের জন্য তিন লক্ষ টাকা অর্থ আলাদা করে রাখা হয়েছে।