নিজস্ব প্রতিবেদন : উপ নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং বিজিপির মধ্যে প্রথম থেকেই চলছিল পরস্পর বিরোধী মত প্রকাশ। তবে শনিবার শেষমেষ নির্বাচন কমিশন ভবানীপুর উপ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে।
দেশে ৩১টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন বাকি থাকলেও কেবলমাত্র ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘোষণা করায় বিজেপির তরফ থেকে এর তুমুল সমালোচনা করা হয়। তবে তার সাথে সাথেই কড়া টক্কর হবে এমনটাও জানিয়ে দেয় বিজেপি।
শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দারুণ ফাইট হবে। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টিই একমাত্র দল যে মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছে।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই বার্তাতেই স্পষ্ট তারা ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে খুব তাড়াতাড়ি লড়াইয়ে নামছে। যদিও এই কেন্দ্রে কংগ্রেস কোন রকম প্রার্থী দিতে চায় না তার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
তবে বিজেপির এই বার্তার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ভবানীপুর কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কে নামবেন প্রতিদ্বন্দিতায়? এই প্রশ্নের উত্তরে উঠে আসছে বিজেপির ৫ জন হেভিওয়েট প্রার্থীর নাম।
যাদের মধ্যে একজন রয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের নাম। এছাড়াও বাকি চারজন যাদের নাম উঠে আসছে তারাও প্রার্থী হতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
রুদ্রনীল ঘোষ ছাড়া ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার তালিকায় উঠে আসছে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ের নাম। উঠে আসছে তৃণমূল ত্যাগী দীনেশ ত্রিবেদীর নাম। এ ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় এবং মহিলা প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে ভারতী ঘোষের নাম।
অন্যদিকে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস তাদের প্রার্থী দেবে না এমনটা ঘোষণা করলেও সিপিআইএম কোন যুব নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে প্রার্থী করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে যেহেতু গত নির্বাচনে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল তাই কংগ্রেসের হাইকমান্ডের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যদি প্রার্থী না দেওয়ার ক্ষেত্রেই হয় তখনই সিপিএম এখানে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখবে।